ত্রিপুরার দু’টি অঞ্চল ও অসমের বঙ্গাইগাঁওয়ে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে প্রতিবাদের মোকাবিলা করতে সেনা মোতায়েন করা হল।
নয়াদিল্লি: ত্রিপুরার (Tripura) দু'টি অঞ্চল ও অসমের ((Assam)) বঙ্গাইগনে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে প্রতিবাদের মোকাবিলা করতে সেনা মোতায়েন করা হল। বুধবার রাজ্যসভায় পেশ হয়েছে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল (CAB)। সূত্রানুসারে জানা যাচ্ছে, দু কলম সেনা পাঠানো হয়েছে ত্রিপুরার কাঞ্চনপুর ও মনু অঞ্চলে। তৃতীয় কলমটি গিয়েছে অসমের বঙ্গাইগনে। প্রসঙ্গত, প্রতিটি কলামে সেনার সংখ্যা থাকে ৭০। নেতৃত্বে থাকেন এক বা দু'জন আধিকারিক। সেনার সদর দফতর থেকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে পরিস্থিতির উপরে। // অসমের ডিব্রুগড়ে পুলিশের একটি কিউআরটি নিয়োগ করা হয় জেলা প্রশাসনের অনুরোধে। জেলার ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, এখনও এখানে সেনাকে ডাকা হয়নি কিংবা কার্ফুও জারি করা হয়নি।
নাগরিকত্ব বিল নিয়ে প্রতিবাদের মোকাবিলা করতে ৫,০০০ সেনা পাঠানো হয়ে উত্তরপূর্বে।
সেনা মোতায়েনের কারণ, নাগরিকত্ব বিল নিয়ে ক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তর-পূর্বের সংঘর্ষ। এই বিলে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের অমুসলিম নাগরিকদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল পেশ কররেন সংসদে। বুধবার বিলটি পেশ করা হয়েছে রাজ্যসভায়। তিনি উত্তর-পূর্বের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বুঝিয়েছেন, এই বিল প্রায় গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রযোজ্য হবে না। তিনি প্রতিবাদকারীদের প্রতিবাদ থেকে বিরত হওয়ার অনুরোধ জানান।
নাগরিকত্ব বিলের খসড়ায় অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও মিজোরামের জনজাতি অঞ্চলকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবুও উত্তর-পূর্ব ভারতের বহু অঞ্চলে এই নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার ত্রিপুরা সরকার ৪৮ ঘণ্টার জন্য রাজ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ও এসএমএস পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। সেপাহিজালায় এক দু'মাসের অসুস্থ শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তা অবরোধ হলে শিশুটি মারা যায়।
আগরতলায় বহু বিক্ষোভকারীকে স্রোগান দিতে দেখা যায়। তাঁরা দাবি জানাতে থাকেন, এই বিলকে রাজ্যে প্রযোজ্য করলে হবে না। এৱ আগে বিক্ষোভকারীদের একটি দল অজনজাতিদের দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়। ধলাই জেলায় এই ঘটনা ঘটে।
অসমের গুয়াহাটি সহ উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন জায়গার জনজীবন থমকে যায়, বিলের প্রতিবাদে উত্তর-পূর্বের ছাত্র সংগঠনের তরফে বনধ্ ডাকা হয়। মূল রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে সামিল হন বিক্ষোভকারীরা, উত্তর-পূর্ব ফ্রন্টিয়ার রেলের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবরোধ করার কারণে, বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাঙ্ক, বাজার ইত্যাদি।
সোমবার মধ্যরাতে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল পাস হয়। সাত ঘণ্টা উত্তপ্ত বিতর্কের পর বিলটি পাস হয়।