শ্রীনগরের হোটেলে মাসখানেক আগে এক কাশ্মীরী মহিলার সঙ্গে ধরা পড়েছিলেন তিনি পুলিশের হাতে। সেনাবাহিনীর সেই অফিসার মেজর লিটুল গোগোইয়ের বিরুদ্ধে আজ ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দিল ভারতীয় সেনা। সেনা-আদালত আজ ওই মেজর সাহেবকে, "একদম উল্টো নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও, কর্তব্যরত অবস্থায় স্থানীয় মানুষের সঙ্গে জড়িয়ে পড়া এবং কর্মক্ষেত্রতে গাফিলতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হল'। অভিযোগ, চলতি বছরের মে মাসের 23 তারিখ 18 বছর বয়সী এক কাশ্মীরী মহিলাকে নিয়ে শ্রীনগরের একটি হোটেলে চেক-ইন করতে যান। সেইসময়ই হোটেলের কর্মচারীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। তথ্য অনুযায়ী, তাঁর নামে ওই হোটেলের একটি ঘর অনলাইনে আগেই বুক করে রাখা হয়েছিল। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানায়, ওই সেনা অফিসার তাঁর ড্রাইভার ও ওই কাশ্মীরি মহিলার সঙ্গে হোটেলে চেক-ইন করতে গেলে বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়। কারণ, ওই মহিলা স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের হোটেলের ঘরে যেতে অনুমতি দেয়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার পর মেজর লিটুল গোগোই তাদের জানান, তিনি ওই হোটেলে নিজের 'সূত্র'-এর সঙ্গে বৈঠক করতে এসেছিলেন।
মে মাসের ওই ঘটনার পর সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেনাবাহিনীর কেউ কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
"সেনাবাহিনীর কোনও পদের কোনও কর্মী যদি কোনও গাফিলতি করে এবং তা যদি আমাদের নজরে আসে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তার বা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মেজর গোগোই যদি কোনও ভুল করে থাকেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধেও যে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আমি। যাতে এই শাস্তি একটি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা যায় ভবিষ্যতে", তাঁর শ্রীনগর সফরের সময় এই কথা বলেছিলেন বিপিন রাওয়াত।
গত বছর কাশ্মীরে যখন পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটছিল, ওই সময় পাথর থেকে বাঁচার জন্য এক স্থানীয় কাশ্মীরিকে নিজের জিপের সামনে বেঁধে নিয়ে জিপ চালিয়েছিলেন মেজর গোগোই। ওই ঘটনার ছবি প্রকাশ্যে আসার পর তাঁর বিরুদ্ধে গোটা দেশ জুড়েই ছিছিক্কার পড়ে গেলেও, ভারতীয় সেনা সমর্থন জানিয়েছিল তাঁকে। ওয়াকিবহালমহল মনে করছে, এইবারে তার অন্যথাই হবে।