২০১৮ এর ১৪ জুন ঔরঙ্গজেবকে কিডন্যাপ এবং পরে গুলি করে হত্যা করা হয়
শ্রীনগর: গত বছরের জুন মাসে সেনাকর্মী ঔরঙ্গজেবের হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে, তিন জওয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করল আর্মি। জম্মু কাশ্মীরে ঔরঙ্গজেবকে জঙ্গিরা হত্যা করেছিল বলে জল্পনা রটে যায়।সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহ হয়, ঔরঙ্গজেবের গতিবিধি সম্পর্কিত তথ্য ফাঁস করে দিয়েছিল ৪৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ওই সেনাকর্মীরা।
ঈদ উপলক্ষ্যে পুঞ্চে তাঁর বাড়ি যাওয়ার পথে ৪৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কর্মী ঔরঙ্গজেবকে জঙ্গিরা কিডন্যাপ এবং পরে গুলি করে হত্যা করে বলে মনে করা হয়। আর্মি এবং পুলিশ, তাঁর গুলিবদ্ধ দেহ উদ্ধার করে। গলায় ও ঘাড়ে গুলি করা হয় ঔরঙ্গজেবের।
অন্ধ্রপ্রদেশের এনআরআই ব্যবসায়ীর হত্যার নেপথ্যে ছিল হ্যানি ট্র্যাপ
যে অফিসারের বাহিনীতে ঔরঙ্গজেব ছিলেন, হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি সমীর টাইগারকে হত্যা করেছিল সেই বাহিনী।
তাঁকে মরনোত্তর শৌর্য চক্র পদকে সম্মনিত করা হয়। ঔরঙ্গজেব শহিদ হওয়ার পর তাঁর বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে আসেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত।
রবিবার জম্মু কাশ্মীরের সাম্বায় একটি জনসভায় বিজেপিতে যোগ দানকরেব শহিদ সেনা জওয়ান ঔরঙ্গজেবের বাবা মহম্মদ হানিফ। তিনি ছিলেন জম্মু কাশ্মীরর পদাতিক বাহিনীর কর্মী।
মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতিতে গুলি করার দায়ে গ্রেফতার হিন্দু মহাসভার সম্পাদক
সেনা জওয়ান ঔরঙ্গজেবের শহিদ হওয়ার ঘটনায় তাঁর গ্রাম মান্ধারে শোকের ছায়া নেমে আসে।সৌদি আরব থেকে চাকরি ছেড়ে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে বদলা নিতে গ্রামে ফিরে আসেন ৫০ জন যুবক।
ঔরঙ্গজেবের পরে ছুটিতে থাকা অবস্থায় দুই পুলিশ কর্মী এবং এবং একজন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন।