Indian Army: ৩ বছরের মেয়াদে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে থেকে যুব সম্প্রদায়কে সেনায় যোগদানের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- সেনায় যুগান্তকারী প্রস্তাব, ৩ বছরের জন্যে নিয়োগ করা হোক সাধারণ তরুণদের
- এই প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখছে ভারতীয় সেনা
- এক্ষেত্রে ‘ট্যুর অফ ডিউটি’র পরিকল্পনা করা হচ্ছে ভারতীয় সেনার তরফে
নয়া দিল্লি: সেনাবাহিনীর কাজকর্ম দেখে কি আপনার রক্ত টগবগ করে ফুটে ওঠে? আপনিও কি মনে মনে অনেকবার একজন সেনা কর্মী হিসাবে নিজেকে দেখতে চেয়েছেন? অথচ টানা সেনাবাহিনীতে কাজ করার ক্ষেত্রেও কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে আপনার! এবার হয়তো আপনার স্বপ্ন সফল হলেও হতে পারে। কেননা রীতিমতো যুগান্তকারী এক প্রস্তাবের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে (Indian Army)। প্রয়োজনে ৩ বছরের মেয়াদে (Indian Army 3 Year Tenure For Civilians) ভারতীয় সেনায় যোগ দিতে পারবেন দেশের উদ্যমী তরুণরা, তাঁদের এই সুযোগ দেওয়া হোক, এমনই একটি প্রস্তাব নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জানা গেছে। শীর্ষ সামরিক সূত্র জানিয়েছে সেনাবাহিনী আধা মিলিটারি ফোর্স এবং কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর সদস্য হিসাবে সাত বছরের কম সময়ের জন্য দেশের তরুণদের সেনায় সামিল করার বিষয়ে বিবেচনা করছে, মেয়াদ শেষের পরে তাঁরা ফের তাঁদের সাধারণ নাগরিক জীবনে ফিরে যেতে পারবেন।
এই প্রস্তাবের মূল লক্ষ্য হল, যে সমস্ত সাধারণ নাগরিক সেনায় কাজ করার রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে চান তাঁদের একটা সুযোগ দেওয়া। পাশাপাশি, সেনায় যোগ দেওয়ার কারণে নাগরিক সমাজও আরও বেশি করে সুশিক্ষিত ও শৃঙ্খলাপরায়ণ ব্যক্তি পাবে।
৩০ জুন পর্যন্ত নিয়মিতভাবে ট্রেন চলাচল স্থগিত, জানাল রেলমন্ত্রক
"একজন ২২/২৩ বছরের সাধারণ স্নাতকের তুলনায় মিলিটারি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ২৬/২৭ বছরের ব্যক্তিকে চাকরিতে নিয়োগ করতে পছন্দ করেন কর্পোরেটরা", বলছে সমীক্ষাও।
সেনা সূত্রে খবর, ট্যুর অফ ডিউটি (Indian Army Tour of Duty) প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে ১০০ জন অফিসার ও ১ হাজার জওয়ানকে নিযুক্ত করা হবে। সেই মডেল সফল হলে ভবিষ্যতে আরও পদে তিন বছরের জন্য নিযুক্ত করা হবে। তিন বছরের মেয়াদ শেষে পেনশন না দিলেও, আধিকারিক বা জওয়ানদের কিছু থোক টাকা দেওয়া হবে। তবে, লড়াইয়ে শহিদ হলে একজন আম জওয়ানের মতো সমস্ত সুবিধাই পাবে মৃতের পরিবার।
করোনা ভাইরাসের থেকে "হয়তো আর কখনোই সম্পূর্ণ মুক্তি" মিলবে না: হু
যদিও এই নিয়োগের বিষয়ে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল আমান আনন্দকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "এই প্রস্তাব যদি অনুমোদন করা হয় তবে এই নিয়োগ পুরোপুরিই ঐচ্ছিক পর্যায়েই থাকবে। কিন্তু যাঁদের নিয়োগ করা হবে তাঁদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর নির্দিষ্ট মানদণ্ডে কোনও কমতি থাকবে না। প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পে ১০০ জন সেনা আধিকারিক এবং এক হাজার পুরুষ জওয়ান পদে নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে"।
বর্তমানে সেনাবাহিনীতে শর্ট সার্ভিস কমিশনের আওতায় তরুণদের প্রাথমিক পর্যায়ে ১০ বছরের মেয়াদে নিয়োগ করে যা পরবর্তীতে বাড়িয়ে ১৪ বছর পর্যন্ত করা যায়। তিন বছরের ঐচ্ছিক ওই চাকরির ক্ষেত্রে আনুমানিক খরচ ধার্য হয়েছে ৮০-৮৫ লক্ষ টাকা। শর্ট সার্ভিস কমিশনের অফিসারদের ক্ষেত্রে এতে স্থায়ী চাকরির সুযোগ রয়েছে।এই চাকরির ফলে যুব সম্প্রদায়ের উদ্যম সদর্থক পথে কার্যকর হবে বলে মনে করে সেনা। তবে প্রস্তাব অনুমোদিত হলে গোটা বিষয়টিই পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে আগে দেখা হবে, তারপর এনিয়ে পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)