Read in English
This Article is From Nov 03, 2019

আলোয় ফিরলেন জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগ দেওয়া ৫০ জন কাশ্মীরি, পরিবারের মুখে হাসি

Jammu and Kashmir: সন্ত্রাসমূলক কাজকর্মে জড়িয়ে পড়া যুবকদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়ায় অনেকেই বন্দুক নামিয়ে রেখে ফিরে আসছেন সমাজের মূল স্রোতে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদী দলে যোগ দেওয়া ৮৩% যুবকের বিরুদ্ধে পাথর ছোঁড়ার রেকর্ড রয়েছে

শ্রীনগর:

"মা", এই ডাকটি ডাকতে বোধহয় ইচ্ছা করে সমাজের স্বাভাবিক জীবন থেকে বিভ্রান্ত হয়ে পড়া জঙ্গিবাদী মানসিকতার মানুষজনেরও। আর এই আবেগকেই হাতিয়ার করে এগিয়েছিল কাশ্মীরের এক্সভি আর্মি কর্পস। সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীতে (Terrorist Groups) যোগ দেওয়া কাশ্মীরি যুবকদের ঘরে ফেরাতে তাঁরা চালু করেছিলেন "মা" প্রকল্প। এই মানবিক প্রকল্পে ভাল সাড়া মিলেছে বলে জানা গেছে। অনেক জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) অনেক যুবকই (Kashmiri) সন্ত্রাসের পথ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে নিজের মায়ের কোলে, নিজের পরিবারের কাছে ফিরতে চাইছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল কানওয়ালজিৎ সিং ধিলোনের নির্দেশে ১৫ জন সেনার একটি দল নিখোঁজ যুবকদের সন্ধানে এই বিশেষ অভিযান চালায়। সেনা নিখোঁজ কাশ্মীরি যুবকদের পরিবারের কাছেও যায়। সেখানে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীতে যোগ দেওয়া কাশ্মীরি যুবকদের উদ্দেশ্যে এক মানবিকতার বার্তা দেন তাঁরা।

"ভাল কাজ করুন এবং নিজের বাবা-মায়ের সেবা করুন। মা, মা এবং মা, তারপরে আসেন বাবা, সকলের সেবা করুন। পবিত্র কোরানেও মায়ের এতটাই গুরুত্ব এবং এই পথভ্রষ্ট যুবকদের তাঁদের পরিবারগুলিতে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাকে এই মা নামক শব্দটিই পথ দেখিয়েছিল", বলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল কানওয়ালজিৎ সিং ধিলোন।

প্রকাশিত ভারতের নতুন মানচিত্র! দেখে নিন কেন্দ্রশাসিত জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখের অবস্থান

Advertisement

সন্ত্রাসমূলক কাজকর্মে জড়িয়ে পড়া যুবকদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়ায় অনেকেই বন্দুক নামিয়ে রেখে ফিরে আসছেন সমাজের মূল স্রোতে, দাবি করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল । "স্থানীয় জঙ্গি একটি এনকাউন্টারে ধরা পড়েছে এমন খবর পেয়ে আমরা প্রথমেই ওই জঙ্গির মাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করি এবং তারপর ওই জঙ্গিকে তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলার ব্যবস্থা করে দিই", বলেন তিনি।

"আপনি জানেন যে কিছু মা-ছেলের মধ্যে একটি আলিঙ্গন ম্যাজিকের মতো কাজ করেছিল এবং তরুণ কাশ্মীরিদের জীবন বাঁচানোর জন্য সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টা এটাই ছিল।  আমরা মৃতদেহ গুণতে চাই না, তার থেকে পথভ্রষ্ট যুবকরা যদি ফিরে আসে, নিজেদের পরিবারের সঙ্গে যোগ দেয়. তাতেই আমরা আনন্দ পাবো", বলেন ওই শীর্ষ সেনা কমান্ডার। তিনি আরও বলেন যে," আমি আনন্দিত যে চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ জন যুবক ঘরে ফিরে এসেছেন"।

Advertisement

"জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ নতুন ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে": প্রধানমন্ত্রী

সেনাবাহিনীর সংকলিত তথ্যে দেখা গেছে যে, সন্ত্রাসবাদী দলে যোগ দেওয়া ৮৩% যুবকের বিরুদ্ধে পাথর ছোঁড়ার রেকর্ড রয়েছে। তার মানে আজ যাঁরা পাথর ছোঁড়ার মতো ঘটার সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ছে, আগামীতে হয়তো তাঁরাই সন্ত্রাসবাদী রূপে ধরা দেবে।

Advertisement

সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর সাফল্যের হারের বিবরণ দিয়ে জেনারেল ধিলোন বলেন, "সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীতে যোগদানকারী সাত শতাংশ যুবকেরই মৃত্যু হয় হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার প্রথম দশ দিনের মধ্যেই, এক মাসের মধ্যে মৃত্যু হয় আরও নয় শতাংশের, তিন মাসের মধ্যে হত্যা করা হয় আরও ১৭ শতাংশ সন্ত্রাসবাদীকে, ৬ মাসের মধ্যে মৃত্যু হয় সন্ত্রাসের পথ বেছে নেওয়া ৩৬ শতাংশের এবং প্রথম এক বছরে মারা যায় ৬৪ শতাংশ"।

"আমি নিশ্চিত যে কোনও বাবা নিজের সন্তানের কফিন কাঁধে বইতে চান না এবং সেখান থেকেই সকলের মুখে হাসি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য়েই এই বিচক্ষণ অভিযান শুরু করা হয়", বলেন জেনারেল ধিলোন।

Advertisement