2001 সাল থেকে প্রায় 6,956 জন সাধারণ নাগরিককে খুন করেছে মাওবাদীরা
হাইলাইটস
- 2012 সালে কিছু সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলে প্রশাসন
- সেই মর্মে রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখে ব্যবস্থা নিতে বলে কেন্দ্র
- সেই তালিকায় সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে
নিউ দিল্লি: মহারাষ্ট্রের পুণের ভীমা করেগাঁও-র হিংসার ঘটনায় দেশের নানা জায়গা থেকে বুদ্ধিজীবীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় ঝড় উঠেছে দেশ জুড়ে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে প্রতিবাদে সরব হয়েছে একাধিক সংগঠন। এবার পাল্টা চাপ বাড়ানোর কৌশল নিল কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানাল কংগ্রেস পরিচালিত ইউপিএ দুই সরকার বেশ কয়েক বছর আগে এমন 128টি সংগঠনের কথা জানিয়েছিল যারা মাওবাদীদের সঙ্গে যুক্ত। সেরকমই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে মহারাষ্ট্রের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে মনমোহন মন্ত্রিসভা এই সমস্ত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিল।
মন্ত্রকের এক প্রবীণ আমলা এনডিটিভিকে বলেছেন, 2012, সালের ডিসেম্বর মাসে ইউপিএ সরকার প্রতিটি অঙ্গ রাজ্যের সরকারকে চিঠি লিখে সংগঠনগুলির সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলে। সম্প্রতি গ্রেফতার সুধা ভরদ্বাজ, ভারভারা রাও, সুরেন্দ্র গাডলিং, রোনা উইলসন, অরুণ ফেররিয়া, ভারনন গনসালভেস, মহেশ রাউতরা ওই সংগঠনের সঙ্গেই জড়িত। এর মধ্যে ভারনন গনসালভেস এবং অরুণ ফেররিয়া এর আগে 2007 সালেও একবার গ্রেফতার হন। বেশ কয়েক বছর তাঁদের জেলেই থাকতে হয়। একই ভাবে অন্ধ্র প্রদেশ সরকারের হাতে গ্রেফতার হন ভারভারা রাও।
জানা গিয়েছে এই সংঘর্ষের ঘটনায় মাওবাদীদের যোগাযোগ আছে। আর এ ব্যাপারেই নাকি জড়িত ছিলেন ধৃতরা। সেই দায় তারা কোনও ভাবে অস্বীকার করতে পারেন না বলে মনে করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কিন্তু কীভাবে জড়িত ছিলেন ধৃতরা? সূত্রের দাবি, এঁদের থেকে প্রযুক্তি গত সহ বিভিন্ন ধরনের সাহায্য পেয়েছে মাওবাদীরা। সেই 2001 সাল থেকে প্রায় 6,956 জন সাধারণ নাগরিক এবং 2,517 নিরাপত্তাকর্মীকে খুন করেছে মাওবাদীরা।