জম্মু কাশ্মীরের পুনর্গঠন এবং দুটি কেন্দ্রশাসিক অঞ্চলে ভাগ করা সংক্রান্ত বিল পাশ হয়ে গেল রাজ্যসভায়। এদিন ওয়াকআউট করে বহু বিরোধীদল, ফলে কমে যায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা। অন্যান্যরা সরকারের পক্ষেই যায়। এনডিএ রাজ্যসভায় সংখ্যালঘু। সরকারের পক্ষে যায় মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি, নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল, জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস, চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি, এবং বিষ্ময়করভাবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। সব মিলিয়ে সরকারের পক্ষে সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭। ২৪২ সদস্যের রাজ্যসভায় শাসক এডিএ-র পক্ষে ১০৭, সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২১। রাজ্যসভায় ভোট বয়কট করে নীতিশ কুমারের জেডিইউ এবং ওয়াকআউট করে ১৩ সদস্য থাকা তৃণমূল কংগ্রেস।
কাশ্মীর নিয়ে সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিরোধীদের বিক্ষোভর নেতৃত্ব দেয় কংগ্রেস। বিরোধিতায় সামিল হয় সমাজবাদি পার্টি, ডিএমকে, আরজেডি এবং বামেরা।
বিরোধিতা করে নীতিশ কুমারের দলও, তবে ভোট বয়কট করে তারা।অমিত শাহের ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করায়, সংবিধানক লঙ্ঘন করায় দুজন পিডিপি সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। অনেকে ভোট বয়কট করার খবর মিলেছে।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ঘোষণার মধ্য দিয়েই জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ নম্বর ধারার অবলুপ্তি ঘটানো হবে বলে সোমবার সকালে ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি রাজ্যটিকে ভেহে দুচি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হবে বলেও জানান তিনিষ একটি জম্মু কাশ্মীর—যেখানে থাকবে একটি বিধানসভা, অন্যটি লাদাক, যেখানে কোনও বিধানসভা থাকবে না।