বিএস হুডা বলেন, “যখনই দেশপ্রেম এবং আত্মসম্মানের প্রশ্ন উঠেছে, আমি কখনই আপোস করিনি”
হাইলাইটস
- জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহারকে সমর্থন হুডার
- হরিয়ানায় নির্বাচনের আগে দল, সহকর্মীদের থেকে সমালোচনা
- হরিয়ানায় কংগ্রেসে মতভেদ দেখা গিয়েছে
নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে সমর্থন জানালেন হরিয়ানা কংগ্রেসের অন্যতম নেতা ভুপিন্দর সিং হুডা (Bhupinder Singh Hooda)। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের লাইনের তাঁর কথা বলা স্বাভাবিকভাবেই দলের অন্দর, বাইরে ভ্রু কুঁচকেছে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের। হরিয়ানার রোহতাকে একটি সভায় তিনি বলেন, “৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং আমার অনেক সতীর্থ তার বিরোধিতা করেছে। আমার দল কিছুটা পথভ্রষ্ট হয়েছে। এটা আর আগের কংগ্রেস নেই। যখনই দেশপ্রেম এবং আত্মসম্মানের প্রশ্ন আসে, আমি কখনই আপোস করিনি”। যদিও দল ছাড়ছেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে হুডা (Bhupinder Singh Hooda), পাশাপাশি জনিয়েছেন, ১৩জন বিধায়ককে নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করবেন তিনি, যাঁরা তাঁর ভবিষ্যতের পদক্ষেপ ঠিক করবেন।
কাশ্মীরের পর এবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নজর রাজনাথ সিং-এর
সভায় উপস্থিত ছিলেন তাঁর ছেলে দীপন্দর সিং হুডা, একই সুরে কথা বলেন তিনিও। যদিও তিনি ইঙ্গিত দেন, সরকার যে “পদ্ধতি” অবলম্বন করেছে তা নিয়ে তাঁর আপত্তি ছিল।
প্রাক্তন সাংসদ দীপন্দর সিং হুডা বলেন, “আমি সবসময়েই, দেশের স্বার্থকে রাজনীতির ঊর্দ্ধে রেখেছি...ধারা ৩৭০-এর কথা...এটা ছিল একটা অস্থায়ী ব্যবস্থা...যেভাবে তা তুলে দেওয়া হয়েছে আমি তার বিরুদ্ধে, তবে আমি এটার প্রত্যাহারকে সমর্থন করি। আমি সবসময়েই একে সমর্থন করি...তবে কিছু লোক এটাকে রাজনৈতিক সুবিধার জন্য ব্যবহার করে—আমি তাদের মধ্যে নই”।
উপত্যকায় দীর্ঘকালীন শান্তির লক্ষ্যে চার স্তরের ব্লু-প্রিন্ট কেন্দ্রের
ভুপিন্দর সিং হুডার (Bhupinder Singh Hooda) হঠাৎ করেই দলের লাইনের বাইরে এভাবে কথা বলার পরেই তাঁর দলবদল নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরেই, তাঁদের সর্মথকরা, অশোক তানোয়ারের জায়গায় ভুপিন্দর সিং হুডাকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করার দাবি জানাচ্ছেন।
গত কয়েক সপ্তাহে, জল্পনা ছিল, যে কোনও মহুর্তে দল ছাড়তে পারেন ভুপিন্দর সিং হুডা এবং তাঁর ছেলে। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্রের খবর, সনিয়া গান্ধি অন্তবর্তীকালীন সভাপতি হওয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পাঁচ বছর হরিয়ানায় ক্ষমতার বাইরে কংগ্রেস, ভুপিন্দর সিং হুডার (Bhupinder Singh Hooda) বিরুদ্ধে দূর্নীতি এবং দলবাজির অভিযোগ তুলে সেরাজ্যে পদ্ম ফুটিয়েছেন বিজেপি নেতারা। তবে যেখানে মাত্র দুমাস পরেই নির্বাচন, সেখানে জাতীয় স্তরে নেতৃত্বের অভাবে সেভাবে এখনও মাঠে নামেনি তারা।
রাহুল গান্ধি কংগ্রেস সভাপতি ছাড়া দুমাস পর...গত সপ্তাহে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী হন সনিয়া গান্ধি।
কাশ্মীর ইস্যুকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার ডাক পাক-চিনের: রিপোর্ট
গত কয়েক সপ্তাহে, দলের শীর্ষ পদে কাউকে না বসাতে পারায়, দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীরসহ (Jammu and Kashmir) সরকারের বিভিন্ন ইস্যুতে দলের পদক্ষেপ কী তা নিয়েও কোনও নীল কৌশল তৈরি হয়নি, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধ্রিয়াসহ অনেক নেতাই প্রকাশ্যে এ বিষয়ে সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধ্রিয়া ছাড়াও, ভুপিন্দর সিং হুডা (Bhupinder Singh Hooda), আরেক নেতা, যিনি জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) থেকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের পর, বিরোধীদের বৈঠকে সরব হন। তাঁর মত ছিল, এ বিষয়ে বিরোধিতা করা এটাই প্রমাণ করে, যে দল জাতীয়তাবাদে আগ্রহী নয়। তবে চারঘন্টার বৈঠকের পর, তাঁরা সহমত হন যে, যেভাবে সিদ্ধান্তটি কার্যকর করা হয়েছে, তা সঠিক নয়।