ডেরেক ও ব্রায়েন (Derek O'Brien) বলেন, এটা "কালো সোমবার"।
নয়াদিল্লি: সংবিধানের ৩৭ নম্বর ধারা প্রত্যাহার করে জম্মু কাশ্মীরকে (Kashmir) বিশেষ মর্যাদা দেওয়া বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবর সংসদে সেকথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেতা তথা সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন (Derek O'Brien)। ৩৭০ নম্বর (Article 370) ধারার অবলুপ্তি ঘটিয়ে সংবিধানকে “ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলা” হয়েছে বলে তোপ দাগলেন তিনি। সোমবার সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেন, সংবিধানের ৩৭০ (Article 370) নম্বর ধারার অবলুপ্তি ঘটানোর পাশাপাশি, জম্মু ও কাশ্মীরকে “পুনর্গঠন” করা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সংসদে ব্যাপক হট্টগোল শুরু হয়ে যায়।
‘‘ঐতিহাসিক ভুল সংশোধিত হল'': ৩৭০ ধারা বাতিলের পরে জানালেন অরুণ জেটলি
ডেরেক ও ব্রায়েন (Derek O'Brien) বলেন, এটা "কালো সোমবার"। জম্মু কাশ্মীর (Kashmir) নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থানের বিপক্ষে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, “ হয় সংবিধান ভুলে যাওয়া হয়েছে, নাহলে, তাকে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে। আগামিদিনে বাংলা দুটি রাজ্যে, ওড়িশাতেও হতে পারে, যেটা শুভ নম্বর, সাতটি রাজ্যে পরিণত হতে পারে। আরও খারাপ বিষয় হতে পারে---তারা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হতে পারে। যেটা আমরা দেখছি সংসদে তামাশা”।
জম্মু কাশ্মীরকে (Kashmir) দুটি কেন্দ্রশাসিক অঞ্চলে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারমধ্যে রয়েছে লাদাক-যেটিতে কোনও বিধানসভা থাকবে না, এবং জম্মু কাশ্মীরে একটি বিধানসভা থাকবে, তবে তার ক্ষমতা ব্যাপকভাবে হ্রাস করা হয়েছে।
‘‘অশুভ'': ৩৭০ ধারা বাতিলের পর কেন্দ্রের নিন্দায় মেহবুবা মুফতি
বিজেপির তরফে মনে করা হয়, জম্মু কাশ্মীরকে (Kashmir) বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার ধারাটি (Article 370) “সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত” নয়, পক্ষপাতমূলক এবং রাজ্যের উন্নয়নের পক্ষে যথাযথ নয়।
তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়াও, কাশ্মীর (Kashmir) নিয়ে সরকারের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে কংগ্রেস, ওমর আব্দুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্স, মেহবুবা মুফতির পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং বামেরা।
সরকারের সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি, মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি, অন্ধ্রপ্রদেশের শাসকদল ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল।
সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা বলেন, “সরকার যা করেছে, প্রত্যাবর্তনশীল এবং দূরে সরিয়ে দেবে জম্মু কাশ্মীরের বাসিন্দাদের। এটা গণতন্ত্রের হত্যা”।
সিপিআইএমের তরফে বলা হয়েছে, এটি সংবিধানের ওপর “আক্রমণ”। দলের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “৩৭০ ধারা বাতিল এবং জম্মু কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে দেওয়া ভারতীয় সংবিধানের ওপর আক্রমণ। তারা এই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দ্বারা পরিচালিত হবে”।