রবিবার মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করা হয়। (ফাইল ছবি)
শ্রীনগর: রবিবার সন্ধ্যায় গৃহবন্দি করা হয়েছিল জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আব্দুল্লাকে, সূত্রের খবর, সোমবার তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। শ্রীনগরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সরকারি গেস্ট হাউজে নিয়ে যাওয়া হয় মেহবুবা মুফতিকে। তাঁকে এবং ওমর আবদুল্লা, সাজিদ লোনের মতো উপত্যকার অন্যান্য নেতাদের নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ এবং সোমবার সকালে রাজ্যটির বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করা নিয়ে ট্যুইট করেন তিনি। সরকারের সিদ্ধান্তকে আদালতে যাওয়া হতে পারে, বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওমর আব্দুল্লা। সোমবার সকালে রাজ্যসভায়, জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ নম্বর ধারা প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এদিন সকালে অমিত শাহের ঘোষণার পরেই, ওমর আব্দুল্লা বলেন, “৩৭০ এবং ৩৫এ ধারার অবলুপ্তি রাজ্যের স্বাভাবিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলে, কারণ, ধারায় বিবৃত করা শর্ত অনুযায়ী, এটা করা হয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত একতরফা, অবৈধ এবং অসাংবিধানিক, এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স একে চ্যালেঞ্জ জানাবে। সামনে বড় এবং কঠিন লড়াই”।
গত বছরের জুনে জম্মু কাশ্মীরে মেহবুবা মুফতির পিপলস ডেমোক্যাটিক পার্টি এবং বিজেপির জোট সরকারের অবসান হয়...গত সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরে সেনা মোতায়েন করার পর থেকেই সরব হন মেহবুবা মুফতি।
এইদিনটিকে, “সবচেয়ে অন্ধকারময়” বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। পাশাপাশি “অশুভ” পদক্ষেপের অভিযোগ তোলেন মুফতি।
তিনি বলেন, “সংসদীয় গণতন্ত্রে আজকের দিনটি সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন।১৯৪৭-এ দুটি দেশের তত্ত্ব খারিজ এবং ভারতের সঙ্গেযুক্ত হওয়ার যে সিদ্ধান্ত জম্মু কাশ্মীরের নেতারা নিয়েছিলেন, তা ঘুরে এসেছে। ভারত সরকারের, ৩৭০ নম্বর ধারার অবলুপ্তি ঘটানোর একতরফা সিদ্ধান্ত, অবৈধ এবং অসাংবিধানিক”।