Read in English
This Article is From Mar 27, 2020

প্রয়াত বহুমুখী প্রতিভাধর শিল্পী সতীশ গুজরাল, শোকস্তব্ধ প্রধানমন্ত্রী

৯৪ বছরে চলে গেলেন বিশিষ্ট শিল্পী সতীশ গুজরাল (Satish Gujral)। দিল্লিতে নিজের বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর। 

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

চলে গেলেন সতীশ গুজরাল!

নয়া দিল্লি:

৯৪ বছরে চলে গেলেন বিশিষ্ট শিল্পী সতীশ গুজরাল (Satish Gujral)। বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁর বহুমুখী প্রতিভার জন্য বিখ্যাত ছিলেন তিনি। দিল্লিতে নিজের বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের খবর প্রকাশ্যে আসতেই টুইটে শোক জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ১৯৯৯ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত সতীশ ছিলেন একাধারে স্থপতি, লেখক, চিত্রশিল্পী, ভাস্কর এবং গ্রাফিক শিল্পী। 

৮৮-তে 'আলবিদা' নিম্মির, টুইটে শোকবার্তায় মহেশ ভাট, ঋষি কাপুর

২৫ ডিসেম্বর অধুনা পাকিস্তানের অন্তর্গত ঝিলমে জন্ম গ্রহণ করেন এই শিল্পী। ছোট থেকেই নানা সমস্যার সম্মুখিন হতে হয় তাঁকে। শিশু বয়সেই শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে যায় তাঁর। তবু তাঁর প্রতিভা থেমে যায়নি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আইকে গুজরাল ছিলেন তাঁর ভাই।

Advertisement

টুইটারে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মোদি তাঁকে "বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী" বলে অভিহিত করেন। টুইটে তিনি লেখেন, "সতীশ গুজরাল সৃজনশীলতার পাশাপাশি আজীবন সমস্ত প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়ে গেছেন। এবং জীবনকে ছড়িয়ে দিয়েছেন শিল্পের নানা শাখায়। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকস্তব্ধ।"

মোদির পথে হেঁটে সোশ্যালে শ্রদ্ধা জানান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি। তিনি লিখেছেন, "বিখ্যাত চিত্রশিল্পী, ভাস্কর, মুরোলিস্ট এবং স্থপতি সতীশ গুজরালের মৃত্যুতে গভীর শোকাহত। আমি তাঁর পরিবারকে আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। তিনি আজীবন থেকে যাবেন শিল্পমনস্কদের হদয়ে।"

Advertisement

সতীশ গুজরালের বিখ্যাত কাজগুলির মধ্যে দিল্লি হাইকোর্টের বাইরের দেওয়ালে বর্ণমালার মুরাল এঁকেছিলেন। তিনি বেলজিয়াম দূতাবাসের নকশাও করেছিলেন। সমস্ত ওয়েবসাইটে তাকে "সমসাময়িক ভারতীয় শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ" এবং "জীবন্ত কিংবদন্তী" হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। আত্মজীবনী সহ তিনি চারটি বইও লিখেছিলেন। জীবদ্দশাতেই সতীশ গুজরালকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ১২টি তথ্যচিত্র। আত্মজীবনীকে অনুসরণ করে তাঁর জীবন নিয়ে তৈরি হচ্ছে ছবিও।

(তথ্যে  PTI) 

Advertisement