দিল্লির নিগমবোধ ঘাটে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় অরুণ জেটলির
হাইলাইটস
- দলের বাইরেও নেতারা শ্রদ্ধা জানান অরুণ জেটলিকে
- শনিবার দুপুরে মৃত্যু হয় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির
- শেষশ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি, অমিত শাহ, সনিয়া গান্ধি
নয়াদিল্লি: রবিবার বিকেলে শেষকৃত্য সম্পন্ন হল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির। দলের বাইরেও বহু নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন শেষকৃ্ত্যের অনুষ্ঠানে। নয়াদিল্লির AIIMS হাসপাতালে দু সপ্তাহ ভর্তি ছিলেন অরুণ জেটলি, সেখানেই শনিবার দুপুরে প্রয়াত হন তিনি। যে সমস্ত কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর সঙ্গে প্রথম মোদি সরকারের জমানায় কাজ করেছেন তাঁদের বেশীরভাগই উপস্থিত ছিলেন শেষকৃত্যে। এছাড়াও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ শিসোদিয়া, কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধ্রিয়ার পাশাপাশি একসময়ে আদালতে জেটলির প্রতিদ্বন্দ্বী কপিল সিব্বল উপস্থিত ছিলেন নিগমবোধ ঘাটে শেষকৃত্যে। তবে বিদেশে থাকায় শেষকৃত্যে থাকতে পারেননি প্রধানমমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবারই দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি, যদিও জেটলির পরিবারের তরফে তাঁকে বারণ করা হয়। বাহরিন সফরের পর সেখান থেকে G7 সম্মেলনে যোগ দিনে ফ্রান্স গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
নরেন্দ্র মোদির প্রথম মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী ছিলেন পেশায় আইনজীবী অরুণ জেটলি
রবিবার সকালে, দিল্লিতে অরুণ জেটলির বাড়ির সামনে হাজির হন বহু মানুষ। পরে দলীয় কার্যালয়ে জেটলির দেহে মালা দিয়ে শোকজ্ঞাপন করেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। পাশাপাশি কংগ্রেস নেতা মোতিলাল ভোরা, এসিপি নেতা শরদ পাওয়ার এবং প্রফুল্ল প্যাটেল, আরজেডির অজিত সিং এবং অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রয়াত অরুণ জেটলিকে।
PM's Tribute To Arun Jaitley:"এক মূল্যবান বন্ধুকে হারালাম আমি"
নরেন্দ্র মোদির সবচেয়ে বিস্বস্ত এবং দলের কৌশলী তথা ক্রাইসিস ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন অরুণ জেটলি। কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পদে থাকাকালীন একাধিক অর্থনৈতিক আইন সংস্কার ও তৈরি করেন। পণ্য ও পরিষেবা করসহ সরকারের একাধিক বিতর্কিত নীতি তৈরি ও সংস্কার করেছিলেন জেটলি।
বেশ কয়েক বছর ধরেই শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন অরুণ জেটলি। দ্বিতীয়বার নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার, নতুন কোনও দায়িত্ব নেওয়ার আগে, সময় চেয়েছিলেন তিনি।
অরুণ জেটলিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ বিজেপি নেতারা
৫২ বছর বয়সের মধ্যেই তিনবার হৃদযন্ত্রে বাইপাস সার্জারি হয় জেটলির। গত বছরের মে মাসে কিডনি প্রতিস্থাপনের পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়, এছাড়াও ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন জেটলি। চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় থাকায় গত ফেব্রুয়ারিতে অন্তবর্তী বাজেট পেশ করতে পারেননি তিনি।
বিদেশ সফরে যাওয়ার আগে, AIIMS হাসপাতালে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে দেখতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিদেশ সফরে থাকাকালীন জেটলির মৃত্যুর খবরে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি ভাবতে পারছি না যে, আমার বন্ধু চলে গিয়েছে। কিছুদিন আগে, আমরা প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী আমাদের বোন সুষমা স্বরাজজীকে হারিয়েছি। আজ আমি আমার বন্ধু অরুণকে হারালাম”।
সুষমা স্বরাজের মতোই অরুণ জেটলিও পরিচিত ছিলেন লালকৃষ্ণ আদবানির তোর টিমের সদস্য হিসেবে
মোদি সরকারের সবচেয়ে জনপ্রিয় মন্ত্রী ছিলেন সুষমা স্বরাজ। ৬ অগস্ট মৃত্যু হয় তাঁর। সুষমা স্বরাজ বিজেপির দ্বিতীয় হাইপ্রোফাইল নেতৃত্বের মৃত্যু, তাঁর আগে মার্চে প্রয়াত হন প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর।