গত ৯ই আগস্ট এইমসে ভর্তি হন অসুস্থ জেটলি।
অরুণ জেটলির (Arun Jaitley) প্রয়াণে শোকবিহ্বল পরিবেশ গেরুয়া শিবিরে। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোকাহত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। অরুণ জেটলির মৃত্যু তাঁর কাছে ‘ব্যক্তিগত ক্ষতি' (Personal Loss) বলে জানালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। শনিবার শাহ বলেন, ‘অরুণ জেটলির মৃত্যুতে আমি শোকাহত। আমার কাছে এটি একটি ব্যক্তিগত ক্ষতি। জেটলিজির মৃত্যুতে শুধুমাত্র দলের একজন বরিষ্ঠ নেতাকেই হারালাম না বরং পরিবারের একজনকে হারালাম। আমার কাছে উনি ছিলেন একজন পথপ্রদর্শকের (guided) মতো ।' ক্যানসার ও কিডনির সমস্যা নিয়ে দীর্ঘ ১৫ দিন দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। এদিন তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।
প্রয়াত প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৬
বর্তমানে বিদেশ সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। আরব আমিরশাহীতে বসেই তিনি মন্ত্রিসভার প্রাক্তন নির্ভরযোগ্য সদস্যের প্রয়াণের খবর পান। ট্যুইটে শোক প্রকাশ করেছেন মোদি। তিনি লেখেন, "একজন অত্যন্ত মূল্যবান বন্ধুকে হারালাম। গত কয়েক দশক ধরে ওঁকে চিনি। বিভিন্ন ইস্যু তাঁর অন্তর্দৃষ্টি এবং অতি সহজেই বোঝার ক্ষমতার সামঞ্জস্যতা ছিল। তাঁর সঙ্গে অজস্র সুখের স্মৃতি রয়েছে। যা হৃদয়ে থেকে যাবে। আমরা তাকে মিস করব।"
প্রয়াত নেতা ও মন্ত্রীকে স্মরণ করে ট্যুইটে করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং(Rajnath Singh)। লেখেন, "জেটলিজি দেশের অর্থনীতিকে অন্ধকার থেকে বের করে এনে সঠিক পথে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন আপনি। বিজেপি অরুণজির অনুপস্থিতি অনুভব করবে। আমি তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই।"
PM's Tribute To Arun Jaitley:"এক মূল্যবান বন্ধুকে হারালাম আমি"
শনিবার বেলা ১২টা ০৭ মিনিটে দিল্লি এইমসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অরুণ জেটলি। গত ৯ অগস্ট বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি সেখানে ভর্তি হন। তার পর থেকে বেশিরভাগ সময়টাই তিনি ছিলেন ভেন্টিলেশনে। শারীরিক অসুস্থতার জন্য এবার বাজেটও পেশ করতে পারেননি জেটলি। তাঁর পরিবর্তে বাজেট পেশ করেন পীয়ূষ গোয়েল। চিকিৎসার জন্য তিনি সেসময় ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। কিডনি প্রতিস্থাপনের পর থেকেই শরীর ভালো যাচ্ছিল না তাঁর। পরে দ্বিতীয়বারের জন্য মোদী সরকারের জয়ে শুভেচ্ছা জানান তিনি। বলেছিলেন, সক্রিয়ভাবে সবসময় না হলে প্রয়োজনে সরকারকে সাহায্যের জন্য প্রস্তুত তিনি।