গত সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা করেছিল, দুর্নীতিগ্রস্ত কর্তাদের শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে কেবল কেন্দ্রের। দিল্লির সরকারের নয়। যে রায়ের ফলে আম আদমি পার্টির সরকার যথেষ্ট ক্ষুণ্ণ হয়েছিল বলে জানায় ওয়াকিবহালমহল। এই রায়ের এক সপ্তাহ বাদেই অনশনের ঘোষণা করলেন কেজরিওয়াল। যাকে রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বহু নেতা।
এই ইস্যু নিয়ে গত চার বছর ধরে লড়াই চলছে দিল্লি সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে। দু'তরফের মধ্যে ব্যাপারটির একটি শান্তিপূর্ণ মীমাংসার ব্যাপারেও পরামর্শ দিয়েছিল আদালত।
যদিও, শীর্ষ আদালতের রায়ের বিরোধিতা করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সাফ জানান, সুপ্রিম কোর্টের রায় গণতন্ত্রের বিরোধী। এই রায় কখনওই মানা যায় না।
প্রসঙ্গত, ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মতো দিল্লি পূর্ণাঙ্গ রাজ্য নয়। সেই কারণেই দিল্লির রাজ্য সরকারের ক্ষমতাও অত্যন্ত সীমিত। ২০১৬ সালে দিল্লি হাই কোর্ট রায় দিয়ে জানিয়েছিল, যেহেতু, দিল্লি একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, তাই রাজ্য সরকারের থেকেও দিল্লির শাসনভারের দায়িত্ব অনেক বেশি থাকবে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর।
গত বছরের জুলাই মাসে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল, দিল্লিকে এখনই পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের তকমা দেওয়া যাবে না।