এই দুজন ছাড়া মন্ত্রী ও বিধায়ক সহ আরও 11 জনের নাম চার্জশিটে আছে।
নিউ দিল্লি:
দিল্লির মুখ্যসচিব অংশু পারেখকে হেনস্থার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী মণিশ সিসোদিয়ার নামে দায়ের হল অভিযোগ। মাত্র কয়েকদিন আগে উপরাজ্যপালকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে আপ শিবির। এই ঘটনার পর সংঘাত যে আরও বড় আকার ধারন করবে তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই।
সূত্রের খবর, দিল্লি পুলিশের দেওয়া চার্জশিটে এই দুজন ছাড়া মন্ত্রী ও বিধায়ক সহ আরও 11 জনের নাম আছে। কয়েক মাস আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে একটি বৈঠক ঘিরে গোলমালের সূত্রপাত। গভীর রাতের সেই বৈঠকে যোগ দিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি করেন মুখ্যসচিব। সেই কাণ্ডেই জমা পড়লা চার্জশিট।
কয়েক মাস আগে তিন বছর পূর্ণ করে আপ সরকার। আর তাই টিভিতে বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজেদের সাফল্য তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেন কেজরিওয়ালরা। কিন্তু সেই কাজে কিছুটা দেরি হয়। এ নিয়েই কথা হচ্ছিল ওই বৈঠকে মুখ্যসচিবের দাবি কথার মাঝেই তাঁকে আক্রমণ করতে শুরু করেন মন্ত্রী বিধায়করা। তাঁর কথায়, এক বিধায়ককে আমি চিনতে পেরেছিলাম। উনি বলেছিলেন আমি যদি বিজ্ঞাপনের ফাইল আটকে রাখি তাহলে আমাকে সারা রাত ওই ঘরেই বন্ধ করে রেখে দেওয়া হবে। তদন্তকারীদের দাবি এরপরই মারধর শুরু হয়।
এই ঘটনায় আমানতুল্লা খান এবং প্রকাশ জয়সওয়াল নামে দু’জনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি এই দুজনই মুখ্যসচিবকে মারধর করেন। তবে প্রথম থেকেই গোটা ঘটনা অস্বীকার করে আসছে আপ। বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ তুলে ধরে কেজরিওয়াল নিজে দাবি করেন সেখান থেকে নিরাপদে বেরিয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। কিন্তু ফরেন্সিক পরীক্ষায় দেখা যায় সিসিটিভি ফুটেজে গোলমাল আছে। এরপর জমা পড়ল চার্জশিট।