Coronavirus Cases Delhi: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সোমবার একটি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন
হাইলাইটস
- দিল্লিতেও করোনা সংক্রমণ লাগাতার বেড়েই চলেছে
- তার মধ্যেও ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টায় দিল্লি সরকার
- ছোট-বড় প্রায় সব দোকানই খুলে দেওয়ার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল
নয়া দিল্লি: করোনা (Coronavirus) আতঙ্কের মধ্যেই ফের জীবনের জয়গান গাওয়ার চেষ্টা, গোটা দেশের মতো এবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায় দিল্লিও। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) জানিয়েছেন, দিল্লিতে ফের খুলে যাচ্ছে ছোট-বড় প্রায় সব দোকানপাটই। এমনকী খুলছে সেলুনও। তবে, কিছুদিন ধরে বন্ধ থাকা দিল্লির সীমান্ত অঞ্চল খোলা হবে কিনা সে বিষয়ে নিজে থেকে সিদ্ধান্ত না নিয়ে দিল্লিবাসীর মতামত জানতে চেয়েছেন কেজরিওয়াল। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে যুঝছে সারা দেশ। দিল্লিতেও বেশ ভালো রকম জাঁকিয়ে বসেছে কোভিড- ১৯ (Coronavirus Cases Delhi)। তবে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আগেও বলেছিলেন যে দিনের পর দিন লকডাউন চালিয়ে যাওয়া কোনওভাবেই সম্ভব নয়। জীবনের পথে ফিরতে এবার পথে নেমেই সামনাসামনি লড়তে হবে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে।
"করোনা ভাইরাসকে রুখে দিতে পারে আমাদের করোনা যোদ্ধারা", বললেন প্রধানমন্ত্রী
বর্তমানে দেশের মধ্যে করোনা সংক্রমণের বিচারে তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। ব্যস্ততম ওই রাজ্যে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রায় ২০,০০০ মানুষ। সেখানে ৪৭০ জনেরও বেশি মানুষ ইতিমধ্য়েই মারা গেছে।
লাগাতার করোনা সংক্রমণের মধ্যে এখনই দেশের রাজধানীর সীমান্ত অঞ্চল (Delhi Seals Border) খোলার বিষয়টি নিয়ে বেশ দ্বিধাতেই রয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, "আমরা যদি এখন সীমানা খুলে দিই, তাহলে সারা দেশ থেকেই মানুষজন চিকিৎসার জন্যে দিল্লিতে আসতে চাইবেন"। তাই সীমান্ত অঞ্চল খোলার বিষয়ে রাজ্যের মানুষকে আগামী শুক্রবারের মধ্যে মতামত জানাতে অনুরোধ করেছেন আপ প্রধান।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বড় লাফ, নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ৮,৩৯২ জন
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের মতে দিল্লিতে কোভিড- ১৯ রোগীদের জন্যে মোট ৯,৫০০ টি বেড বরাদ্দ করা হয়েছে। "আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আমি এই গ্যারান্টি দিতে পারি যে, আপনার পরিবারের কেউ করোনা আক্রান্ত হলে একটি বেড বরাদ্দ থাকবেই", বলেন তিনি।
"বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দিল্লির হাসপাতালগুলো শুধুমাত্র দিল্লিবাসীদের জন্যেই সংরক্ষণ করা উচিত। এবার এটাও তো ঠিক যে দিল্লিও এই দেশেরই অন্তর্গত, তাই যদি সত্যিই কেউ এখানে চিকিৎসা পরিষেবার আশায় আসতে চায় আমরা কীভাবে তাঁকে ফেরাতে পারি?", এই প্রশ্নও তুলে দেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
একনজরে দেখে নিন দিল্লিতে কী কী খুলছে আর কী বন্ধ থাকছে:
সেলুন সহ ছোট-বড় প্রায় সমস্ত দোকানই খোলা যাবে তবে স্পা বন্ধ থাকবে।
সমস্ত বাজার খোলা যেতে পারে সোমবার থেকেই।
তবে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় ঘোষিত রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত যে কারফিউ জারির কথা বলা হয়েছে তা কার্যকর করা হবে দিল্লিতে।
দুই চাকার গাড়ি সহ ছোট গাড়িগুলোকে চালানোর জন্যে চালকদের অনুমতি দেওয়া হবে।
শিল্পসংস্থাগুলোও পূর্ণ শক্তি নিয়ে তাদের উৎপাদন কাজ শুরু করতে পারে।
তবে সিনেমা হলগুলো এবং স্কুল-কলেজগুলো এখনও বন্ধ রাখতে হবে।