মঙ্গলবার অরবিন্দ কেজরিওয়াল আর্জি জানান, ‘‘এই পাগলামি বন্ধ হোক।’’ (ফাইল)
নয়াদিল্লি: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) বুধবার সকালে জানালেন, পুলিশ উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সিএএ-বিরোধী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে (Delhi Clashes) সৃষ্টি হওয়া হিংসাকে নি।ন্ত্রণ করতে পারছে না। রবিবার থেকে এখনও পর্যন্ত হিংসায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০-তে। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করার পর কেজরিওয়াল বলেছিলেন, ‘‘পুলিশ কিছু করবে না।'' এদিন তিনি আর্জি জানালেন, ‘‘সেনাকে নামানো হোক।'' বুধবার টুইট করে কেজরিওয়াল লেখেন, ‘‘আমি সারা রাত বিপুল সংখ্যক মানুষের সংস্পর্শে থেকেছি। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। পুলিশ তাদের সবরকম চেষ্টা সত্ত্বেও পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে সেনা মোতায়েন করা হোক এবং দ্রুত কার্ফু জারি করা হোক আক্রান্ত এলাকাগুলিতে। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে এব্যাপারে জানাচ্ছি।''
শাহিনবাগের প্রতিবাদীদের সরানোর আর্জি মার্চ পর্যন্ত মুলতুবি সুপ্রিম কোর্টের
মঙ্গলবার রাতে কেজরিওয়ালের বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ দেখান মূলত জামিয়া মিলিয়া ও জেএনইউয়ের পড়ুয়ারা। দিল্লির সংঘর্ষের ফলে উদ্ভুত হিংসা বন্ধের দাবিতে ওই বিক্ষোভ দেখায় তারা। পরে দিল্লি পুলিশ এসে জলকামান চালিয়ে তাদের সরিয়ে দেয় ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ।
দিল্লিতে চলতে থাকা হিংসার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০। রবিবার থেকে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে পাথর ছোঁড়াছুঁড়ি, ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ছড়িয়েছে হিংসা। সংঘর্ষে আহতের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের সময়ই এই হিংসার সূচনা হয়।
‘‘পর্যাপ্ত বাহিনী রয়েছে, ভয়ের কোনও কারণ নেই'': NDTV-কে অজিত ডোভাল
মঙ্গলবার অরবিন্দ কেজরিওয়াল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দিল্লির পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন এক বৈঠকে। বৈঠকের পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘পুলিশ কর্মীরা কিছুই করবেন না যতক্ষণ না তাঁরা উপরমহল থেকে নির্দেশ পাচ্ছেন। আমি অমিত শাহজির সামনে বিষয়টি উত্থাপন করেছি। ওঁরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না উপর থেকে নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তাঁরা লাঠিচার্জ বা কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়বেন কিনা।''
পরে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধির সমাধিস্থলে দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে গিয়ে প্রার্থনা করার পর অরবিন্দ কেজরিওয়াল সকলের কাছে শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানান।
হাসপাতালে আহতদের দেখে বেরনোর পর তিনি বলেন, ‘‘হিন্দু, মুসলিম, পুলিশদের খুন করা হচ্ছে। বাড়ি, দোকান জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কে সাহায্য করছে? কেউ না। এই পাগলামি বন্ধ হওয়া উচিত।''
অরবিন্দ কেজরিওয়াল সমস্ত দলীয় বিধায়কদের একটি বৈঠকে ডাকেন।