স্কুলগুলোতে রাত কাটানোর ব্যবস্থা করেছে দিল্লি সরকার। রবিবার বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। (ফাইল)
হাইলাইটস
- পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্য না ছাড়তে আবেদন করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী
- "রাস্তায় বেরলে, করোনার বিরুদ্ধে এই জয় আমরা হেরে যাব", আবেদন তাঁর
- "থেকে যান, বাড়িভাড়া আমরা দেব", বলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী
নয়া দিল্লি: রাজ্যেই থেকে যান, আপনাদের বাড়ি ভাড়া আমরা মেটাবো। পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে এই আবেদন করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী (Delhi CM)। লকডাউন চলাকালীন দলে দলে শ্রমিক (Migrant Workers) কর্মক্ষেত্র ছেড়ে গ্রামের বাড়ির পথে হাঁটা লাগিয়েছেন। করোনার সংক্রমণের মধ্যে রাস্তায় এই মানুষের ঢল, উলটে বিপদ ডেকে আনবে। এদিন এই বার্তাও দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর (Arvind Kejariwal) আবেদন, "আমি আপনাদের অনুরোধ করছি, যে যেখানে আছেন, সেখানেই থেকে যান। লকডাউন (Nationwide Lockdown) ঘোষণার দিনে এই কথাটাই বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। করোনাকে জয় করার এটাই মন্ত্র। এখন যদি দু'জন লোক সংক্রমিত হয়, আপনারা পথে নামলে শতাধিক সংক্রমিত হবে। তখন আমরা এই যুদ্ধ হেরে যাব।" তিনি আরও জানিয়েছেন, রাত কাটানোর ব্যবস্থা স্কুলে করা হবে। একটা গোটা স্টেডিয়াম খালি পড়ে আছে। শহরের ১০টি জায়গায় কম্যুউনিটি রান্না ঘর চালু করা হয়েছে। আপনাদের যেখানে সুবিধা সেখানেই থাকুন। প্রয়োজনে বাড়িতে থাকুন, ভাড়া সরকার দেবে। কিন্তু রাস্তায় বেরবেন না।
মহারাষ্ট্র থেকে উত্তরপ্রদেশ ট্রাকে শ্রমিক পাঠাতে গিয়ে আটক দুই
ইতিমধ্যে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে আটকে রাখতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নির্দেশিকা জারি করেছে বলেছে, "রাজ্য সীমান্ত বন্ধ করুন আর পরিযায়ী শ্রমিকদের আটকান। এভাবে লকডাউনের যৌক্তিকতা নিশ্চিত করুন।" একইভাবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। যে শ্রমিক, যেখানে আটকে, তাঁকে সেখানেই থাকার ব্যবস্থা করে দিন। খাওয়ার, জল ও অর্থ দিয়ে সাহায্য করুন। অভিযোগ, "যেহেতু কর্মকাণ্ড বন্ধ। তাই তাঁদের দায় নিচ্ছে না মালিকপক্ষ। কোনও কোনও জায়গায় আবার বাড়ি ছাড়তে বলা হয়েছে শ্রমিকদের।" এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে পরিবার নিয়ে গ্রামে ফেরাই এখন উপায়, সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন অনেক শ্রমিক। শনিবার দিল্লির আনন্দবিহার বাস টার্মিনাসের ছবি দেখে শিহরিত নাগরিক সমাজ। বাড়িও ফেরার তাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় তুলে বাসের অপেক্ষায় শয়ে-শয়ে শ্রমিক ও তাঁর পরিবার। এই পরিস্থিতির বদল চাইছে কেন্দ্র। এমনটাই খবর সরকারি সূত্রে।
সেই নির্দেশিকায় আরও বলা, "পথে শ্রমিকের ঢল কমাতে ব্যবস্থা নিক রাজ্য। যে যেখানে আছে, সেখানেই তাঁদের আটকিয়ে দু'সপ্তাহের কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হোক। তৈরি হোক স্থানীয় স্তরে আইসোলেশন কেন্দ্র। মালিকপক্ষ নিশ্চিত করুক কোনও কর্মীর বেতন কাটবে না। সময়ে সেই বেতন হস্তান্তর করবে। গরিব শ্রমিক এবং পরিযায়ী কর্মীদের থেকে একমাসের বাড়িভাড়া নিতে পারবেন না বাড়ির মালিকরা। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে।" সেই উল্লেখে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, বাড়ির মালিকেরা, ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদের চেষ্টা করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।