মুখ্যমন্ত্রী ও উপরাজ্যপালের মধ্যে সংঘাত চলেছে দীর্ঘিদিন
হাইলাইটস
- রায়ের কপি হাতে আসার পর উপরাজ্যপালকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী
- চিঠিতে সরকার পরিচালনার ব্যাপারে তাঁর সাহায্য চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী
- সরকারি কাজ আটকে রেখেছেন উপ রাজ্যপাল দাবি আপের, মানতে নারাজ অনিল
New Delhi: সুপ্রিম রায় এবং একটি সরকারি চিঠির জের বদলে দিল দৃশ্যপট। এতদিন দিল্লির জনতা উপরাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সংঘাত দেখেছে। দেখেছে পরিষদদের নিয়ে উপরাজ্যপাল অনিল বৈজলের বাড়িতে অবস্থান চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্ত বুধবার সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছে ব্যাটন থাকবে মন্ত্রিসভার হাতে। আইনি লড়াই জিতলেও আপ সুপ্রিমো ভালভাবেই জানেন সংঘাত পুরোপুরি না মিটলে সরকার চালানো অসম্ভব। তাই এক বিশেষ কৌশল নিলেন তিনি। চিঠি লিখে উপরাজ্যপালকে বললেন, 'সরকার পরিচালনার ব্যাপারে সাংবিধানিক ভাবে সম্মতি প্রয়োজন না হলেও আপনাকে আমাদের পাশে চাই।' আদালতের রায় কোণঠাসা হয়ে পড়া উপরাজ্যপালও সাড়া দিতে সময় নেননি। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দেন সরকারের সঙ্গে বৈঠক করতে তাঁর আপত্তি নেই। সে মতো আজ দুপুরে দুপক্ষের কথা হবে। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া উপমুখ্যমন্ত্রী মণিশ শিশোদিয়াও সেখানে অংশ নেবেন বলা জানা গিয়েছে।
এদিকে আদালতের রায় হাতে আসার পর থেকেই সরকারের একাধিক জমে থাকা কাজ শুরু হয়েছে। এক দফতরের আধিকারিকদের অন্যত্র বদলি করা উপরাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের গোলমাল হয়েছিল। কিন্ত এখন নিজেদের হাতে ক্ষমতা আসতেই এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে আপ সরকার। উপমুখ্যমন্ত্রী বুধবারই জানিয়ে দিয়েছেন আধিকারিকদের বদল করার ক্ষমতা থাকবে মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই। যদিও সেটি খারিজ করেছেন মুখ্যসচিব। তিনি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকা অনুসারে উপরাজ্যপালই অধিককারিকদের দফতর বদলাতে পারেন। এরপরই উপরাজ্যপালকে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী।
দুদিন আগে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে দিল্লি চালাবে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সরকারই। শুধু তাই নয় উপরাজ্যপাল সরকারি কাজে বাধা দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করে তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্ত এতেই যে সমস্ত সংঘাত মিটে গিযেছে তা নয়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির দাবি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কোনও অংশে বলা নেই দিল্লি পরিচালনায় কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে রাজ্যের ভূমিকা বেশি। কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল বলে এখানে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকাটাই স্বাভাবিক। মানে কোথাও যেন কিছু সংশয় থেকেই যাচ্ছে। এমতাবস্থায় আজকের বৈঠক সবদিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মুখ্যমন্ত্রীর সংঘাত দেখেছে। দেখেছে পরিষদদের নিয়ে উপরাজ্যপাল অনিল বৈজলের বাড়িতে অনশন চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্ত বুধবার সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছে ব্যাটন থাকবে মন্ত্রিসভার হাতে। আইনি লড়াই জিতলেও আপ সুপ্রিমো ভালভাবেই জানেন সংঘাত পুরোপুরি না মিটলে সরকার চালানো অসম্ভব। তাই এক বিশেষ কৌশল নিলেন তিনি। চিঠি লিখে উপরাজ্যপালকে বললেন, 'সরকার পরিচালনার ব্যাপারে সাংবিধানিক ভাবে সম্মতি প্রয়োজন না হলেও আপনাকে আমাদের পাশে চাই।' আদালতের রায় কোণঠাসা হয়ে পড়া উপরাজ্যপালও সাড়া দিতে সময় নেননি। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তিনি জানিয়েদেন সরকারের সঙ্গে বৈঠক করতে তাঁর আপত্তি নেই। সে মতো আজ দুপুরে দুপক্ষের কথা হবে। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া উপমুখ্যমন্ত্রী মণিশ শিশোদিয়াও সেখানে অংশ নেবেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে আদালতের রায় হাতে আসার পর থেকেই সরকারের একাধিক জমে থাকা কাজ শুরু হয়েছে। এক দফতরের আধিকারিকদের অন্যত্র বদলি করা উপরাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের গোলমাল হয়েছিল। কিন্ত এখন নিজেদের হাতে ক্ষমতা আসতেই এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে আপ সরকার। উপমুখ্যমন্ত্রী বুধবারই জানিয়ে দিয়েছেন আধিকারিকদের বদল করার ক্ষমতা থাকবে মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই। যদিও সেটি খারিজ করেছেন মুখ্যসচিব। তিনি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকা অনুসারে উপরাজ্যপালই অধিককারিকদের দফতর বদলাতে পারেন। এরপরই উপরাজ্যপালকে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী।
দুদিন আগে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে দিল্লি চালাবে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সরকারই। শুধু তাই নয় উপরাজ্যপাল সরকারি কাজে বাধা দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করে তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্ত এতেই যে সমস্ত সংঘাত মিটে গিযেছে তা নয়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির দাবি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কোনও অংশে বলা নেই দিল্লি পরিচালনায় কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে রাজ্যের ভূমিকা বেশি। কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল বলে এখানে কেন্দ্রীয় সকরারে নিয়ন্ত্রণ থাকাটাই স্বাভাবিক। মানে কোথাও যেন কিছু সংশয় থেকেই যাচ্ছে। এমতাবস্থায় আজকের বৈঠক সবদিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে কোচে রাজনৈতিক মহল.