কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আরবিআইয়ের সংঘাত কয়েক দিন আগেই প্রকাশ্যে এসেছে।
হাইলাইটস
- আরবিআইয়ের স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টার
- তিনি জানান শীর্ষ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতা রক্ষিত হওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ
- উদ্বৃত্ত ব্যবহার করা ব্যাঙ্কে তল্লাশি চালানোর সামিল
নিউ দিল্লি: আরবিআইয়ের স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করলেন দেশের প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম। এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শনিবার তিনি জানান শীর্ষ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ। সেখানকার উদ্বৃত্ত ব্যবহার করা ব্যাঙ্কে তল্লাশি চালানোর সামিল। তাঁর কথায় শীর্ষ ব্যাঙ্ককে নিজের মতো করে চলতে দেওয়া উচিত। সেটা না করে তার উদ্বৃত্তের অংশ চাওয়া ব্যাঙ্কে তল্লাশি চালানোর সামিল। কয়েকদিন আগেই আরবিআইয়ের সঙ্গে উদ্বৃত্ত ব্যবহার করা নিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে কেন্দ্র। এ প্রসঙ্গে অরবিন্দের মনে হয় দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক নিজেদের স্বাধীনতা খোয়াতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই এমন মন্তব্য করলেন প্রাক্তন আর্থিক উপদেষ্টা।
সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, আরবিআই দেশের অন্যতম প্রধান সংস্থা। কিন্তু আরবিআই টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেনি বলেই বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাঁর মনে হয় ব্যাঙ্কের উদ্বৃত্ত টাকা শুধু তার নিজের খরচের জন্যই ব্যবহার হয়ে থাকে।
কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আরবিআইয়ের সংঘাত কয়েক দিন আগেই প্রকাশ্যে এসেছে। আরবিআইয়ের গভর্নর উৰ্জিত প্যাটেলের ইস্তফা দেওয়া নিয়েও চর্চা হয়েছে একটা সময়ে। সংঘাতের একটা বড় জায়গা জুড়ে রয়েছে আরবিআইকে পাঠানো কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তিনটি চিঠি। সেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সাত নম্বর ধারা প্রয়োগের কথা বলা আছে। এটির সাহায্যে জনস্বার্থে আরবিআইকে কোনও কাজ করতে নির্দেশ দিতে পারবে কেন্দ্র। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই ধারার প্রয়োগ আগে কখনও হয়নি। বিতর্কের মাঝে কর্মীদের পাশে পেয়েছেন উৰ্জিত। গত শুক্রবার ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর কার্যত সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।
বিশেষজ্ঞদের মনে হয় আগামী বছর মে মাসে হতে চলা নির্বাচনকে সামনে রেখে আর্থিক নীতি শিথিল করার ব্যাপারে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ককে চাপ দিচ্ছে সরকার। আর সেটা নিয়েই গোলমাল বেধেছিল।
আরবিআইয়ের পরিচালন সমিতিতে কয়েকজনকে যুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকজনের অন্তর্ভুক্তির নেপথ্যে রাজনীতি দেখছে বিরোধীরা। কিন্তু উপদেষ্টা মনে করেন এমনটা হওয়া উচিত নয়। পরিচালন সমিতি রাজনীতি মুক্ত হওয়াই উচিত। সেখানে রাজনীতি প্রবেশ করানো বা প্রবেশ করতে দেখা দুটোই অন্যায়।