Read in English
This Article is From Mar 19, 2020

স্বাস্থ্যবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে করোনা সন্দেহভাজনরা দিব্যি ঘুরছেন প্রকাশ্যে

Coronavirus: এই উদাসীনতা ও অসতর্কতা প্রসঙ্গে আইসিএমআর প্রধান চিকিৎসক রমেন গঙ্গাখেড়কর বলেছেন, সরকার ঠিক কী কারণে নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্র বাড়াচ্ছে না!

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

সামাজিক দূরত্ব বজায় এবং গৃহবন্দি থাকা। এই ভাইরাস সংক্রমণ রোখার অন্যতম বিকল্প।

Highlights

  • উদাসীন বিদেশ থেকে ফেরত নাগরিকরা, তাঁদের আচরণে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর
  • হোম কোয়ারান্টাইনের বদলে সামাজিক জমায়েতে উৎসাহী সন্দেহভাজনরা
  • এমনই দুটি ঘটনায় হতবাক মুম্বই ও কলকাতা
নয়া দিল্লি :

হু, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের স্বাস্থ্যবিধিকে থোড়াই কেয়ার (Health Advisory)। বিদেশ-বিভুই থেকে ফিরে হোম কোয়ারান্টাইনের বদলে জন সংযোগেই বেশি মত্ত ভারতীয়রা। আর এই তোয়াক্কা না-করার ভাবে সিঁদুরে মেঘ দেখছন চিকিৎসকরা। গত একসপ্তাহে এমন দু'টি ঘটনা ঘুম ছুটিয়েছে মহারাষ্ট্র (Maharastra and West Bengal) ও পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতরের। মঙ্গলবার মুম্বইতে চার যুবক দিব্যি হাতে গৃহবন্দি (Home quarantine) ছাপ নিয়েও শহর ঘুরলেন লোকাল ট্রেনে চেপে। পাশাপাশি সে দিনই পশ্চিমবঙ্গের এক সরকারি হাসপাতালে করোনা সন্দেহে ভর্তি হয়েছেন লন্ডন ফেরত এক তরুণ। তাঁর নমুনা পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে কোভিড-১৯ পজিটিভ (Covid-19)। কিন্তু বিপত্তি অন্য জায়গায়। রবিবার সেই তরুণ শহরে পা রেখে পরের দু'দিন একাধিক জায়গায় গিয়েছিলেন। যে তালিকায় 'প্রভাবশালী' মায়ের কর্মক্ষেত্র, রাজ্য সচিবালয় নবান্ন থেকে দক্ষিণ কলকাতার এক শপিং মল রয়েছে। ফলে এখন আতঙ্ক, তাঁর সংস্পর্শে কতজন এসেছে! এই দুটি সাম্প্রতিক উদাহরণের পাশাপাশি চলতি সপ্তাহের প্রথমে ফরিদপুরে ঘটেছে আরও একটা ঘটনা। শহরের এক সরকারি হাসপাতাল থেকে কোয়ারান্টাইন পরিষেবা ভেঙে পালিয়ে গিয়েছেন এক সন্দেহভাজন। ফলে শহর জুড়ে এখন ত্রাহি-ত্রাহি রব। 

ইয়েস ব্যাংকের আর্থিক তছরুপ মামলায় অনিল আম্বানিকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

তবে এই ঘটনার জেরে অভিযুক্তদের শাস্তির কোনও নিদান দেওয়া নেই। যে ব্যবস্থা চালু করেছে ইতালি। এদেশে মহামারী আইন লাগু থাকলেও সেভাবে কড়া শাস্তির নিদান নেই। শুধু ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারায় এক-ছয় মাস জেল, সঙ্গে ২০০-১০০০ টাকার জরিমানা। যা সেই সব উদাসী মানুষের মনে ভয় ধরানোর জন্য খুবই অল্প, বলছেন চিকিৎসকরা। 

এদিকে, গত সপ্তাহে আগ্রার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে, নিজের মেয়েকে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য। জানা গিয়েছে, রেলের কর্মী সেই ব্যক্তির মেয়ে করোনা সংক্রামিত স্বামীকে ফেলে বেঙ্গালুরু থেকে বাবার কাছে চলে এসেছিল। বিভিন্ন দফতর মারফত সেই খবর আগ্রা পুলিশের কাছে গেলে, তারা সেই ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালায়। প্রথমে পুলিশকে বিভ্রান্ত করলেও, পরে সেই বাড়ি থেকে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে আগ্রার এক হাসপাতালের কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে।  

লকডাউনের মধ্যেই শ্রীনগরে ৪ বিদেশি পর্যটককে ঘিরে বিতর্ক, শুরু তদন্ত

Advertisement

এই উদাসীনতা ও অসতর্কতা প্রসঙ্গে আইসিএমআর প্রধান চিকিৎসক রমেন গঙ্গাখেড়কর বলেছেন, সরকার ঠিক কী কারণে নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্র বাড়াচ্ছে না! আশঙ্কা, যারা পরীক্ষা করিয়ে পজিটিভ রিপোর্ট পাবেন, তাঁরা নিজেদের সামাজিক ভাবে পৃথক করবেন না। উলটে সামাজিক বয়কটের ভয়ে লুকিয়ে রাখবেন রিপোর্ট। কেউ কেউ আবার ভুয়ো নাম-পরিচয় দিয়ে পরীক্ষা করাবেন। এতে আরও বাড়বে বিভ্রান্তি ও বিপর্যয়। অপরদিকে, কলকাতার তরুণের করোনা সংক্রমণ প্রসঙ্গে বুধবার মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, কাউকে ভিআইপি পরিষেবা না। তুমি বিদেশ থেকে আসছ মানেই, তোমাকে ঘরে বন্দি থাকতে হবে। শহরে ঘুরে বেড়ালে চলবে না। তবে এই গা ছাড়া মনোভাবের মধ্যেও বিকল্প আছে। সম্প্রতি বিদেশ থেকে এসে নিজেদের গৃহবন্দি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরলীধর আর প্রাক্তন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। গৃহবন্দি থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যসভার কাছে ছুটি চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। 

Advertisement