Read in English
This Article is From Jun 13, 2018

জাতীয় রাজনীতিতে মনোনিবেশ করছেন মমতা, ভাইপো উঠে আসছেন বাংলায়

30 বছরের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি, অতি ধীরে এবং সুনিশ্চিতভাবে এগিয়ে আসছেন সামনের দিকে। তাঁর পিসি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোযোগ এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতিতে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By

গত সপ্তাহেই জ্বালানী তেলের অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য কলকাতায় একটি বিশাল প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব দেন অভিষেক

কলকাতা: রাজবংশের নীতিটিই হল, ওই বংশের রাজনীতিতে  পুত্রসন্তানদের জন্য যথাসম্ভব মর্যাদামূলক একটি স্থান তৈরি করে দেওয়া। ভারতীয় রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে এটি খুব অপরিচিত দৃশ্য নয়। কিন্তু, বাংলার রাজনীতিতে এই দৃশ্যটিই কিঞ্চিত বদলে গিয়েছে। এখানে পুত্রের বদলে রয়েছেন ভাইপো। 30 বছরের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি, অতি ধীরে এবং সুনিশ্চিতভাবে এগিয়ে আসছেন সামনের দিকে। তাঁর পিসি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোযোগ এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতিতে।

জ্বালানী তেলের অবিশ্বাস্য মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ছ'বছর আগে কলকাতার রাস্তায় যে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক যেন তারই পুনরাবৃত্তি দেখা গেল তেলের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে গত সপ্তাহে যাদবপুর থেকে হাজরায় অভিষেকের নেতৃত্বে হওয়া প্রতিবাদ মিছিলে। 

যদিও, ভাইপোর গন্তব্য ঠিক কোনটা, তা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যেই কিছুটা সংশয় রয়েছে।

Advertisement
“মমতা এখন এই দেশের মুখ। তিনি ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন এখন। যে কারণে, খুব স্বাভাবিকভাবেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বাংলার যুব প্রতিনিধি”, বলেন মমতা’র সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। তিনিও ওই দিন অভিষেকের মিছিলে তাঁর পাশে পাশে হেঁটেছিলেন।

“আজকের নেতা, কালকের আশা”, বলেন মদন।

Advertisement
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থানটি উল্কাসদৃশ। 2010 সালে তিনি যুব  তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান হিসাবে নিযুক্ত হন। 2014 সালে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা থেকে জিতে হন সাংসদ। কয়েক মাসের মধ্যেই তৃণমূল যুব এবং তৃণমূল ইয়ুথ কংগ্রেস এই দুটি শাখা মিলে যায়, যার শীর্ষে বসেন অভিষেক।

এইভাবেই তাঁর আগে ওই পদে আসীন পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষমতায় থাকা  এবং মমতাকে নন্দীগ্রামে জিতিয়ে দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীকে তিনি পদচ্যুত করেন।
  
দলের ভিতরের চাপা অসন্তোষের খবর অভিষেকের অজানা নয়।

Advertisement
“আমাদের দলের নেতা আসলে একজনই। বাকিরা সবাই দলীয় কর্মী। এই দলে কোনও দ্বিতীয় বা তৃতীয় নম্বর নেই। আপনারাও কর্মী, আমিও কর্মী”, তাঁর প্রতিবাদ মিছিলের শেষে তিনি এই কথা বলেন। বিজেপিকে দিল্লি থেকে ক্ষমতাচ্যুত করে নিজের পিসিকে ক্ষমতার কেন্দ্রে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
 
Advertisement