কাশ্মীরকে "ইতিহাস থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক"-এর পরিপ্রেক্ষিতে তোলা পাকিস্তান ও চিনের যুক্তি খারিজ করেছে ভারত, "কাশ্মীর সমস্যা রাষ্ট্রসঙ্ঘের সুরক্ষা কাউন্সিলের প্রস্তাবসমূহের ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা উচিত এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করা উচিত", এই কথাও বলা হয় চিন(China) ও পাকিস্তানের (Pakistan) তরফে। কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন," সাম্প্রতিক চিনা বিদেশমন্ত্রীর সফরের পরে চিন ও পাকিস্তানের জারি করা যৌথ বিবৃতিতে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) উল্লেখকে প্রত্যাখ্যান করছি। জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ"। তিনি বলেন, ভারত তথাকথিত "চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর" নিয়ে দুই দেশের কাছেই তাঁদের আপত্তি ও ধারাবাহিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যা আসলে ভারতের ভূখণ্ডের মধ্যে অবস্থিত হলেও ১৯৪৭ সাল থেকে একে অবৈধভাবে পাকিস্তান দখল করে আছে, জানায় ভারতের কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক।
রাষ্ট্রসঙ্ঘে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের মতকে খণ্ডন করতে পারে ভারত
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ এবং জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে দ্বিখণ্ডিত করার বিষয়ে মোদি সরকারের পদক্ষেপের পরেই এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রতিবেশী দেশ চিন।
গত মাসেই, পাকিস্তানের অনুরোধ মতো জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে চিন রাষ্ট্রসঙ্ঘের দ্বারস্থ হয়। তবে আমেরিকা ও ব্রিটেন সহ নিরাপত্তা পরিষদের সকল সদস্য দেশ - পাকিস্তানের সঙ্গে এ বিষয়ে একমত হয়নি। জম্মু ও কাশ্মীরের অবস্থার পরিবর্তন বিষয়টি সম্পূর্ণ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে একমত হয় তাঁরা।
এরপরেই আরও কঠিন অবস্থান নেয় ভারত। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সাফ জানান, একমাত্র পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বিষয়ে নিয়েই পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সম্ভব। কেননা ১৯৪৭ সালে থেকেই ওই অঞ্চলটি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে ওই দেশ।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে রাজনাথ সিং বলেন, "যদি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হয় তবে তা শুধুমাত্র পিওকে অর্থাৎ (পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর) নিয়েই হবে।"
২ সপ্তাহ আগের তুলনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এখন ‘উত্তেজনা কম': ট্রাম্প
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে রবীশ কুমার বলেন, "পাক অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের স্থিতিশীল অবস্থা পরিবর্তনের জন্য অন্য দেশগুলির যে কোনও পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে ভারত। আমরা সংশ্লিষ্ট সকলকে এই ধরনের পদক্ষেপ বন্ধের আহ্বান জানাই।"
মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিল অধিবেশনে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মুখোমুখি লড়াই হওয়ার কথা। পাকিস্তান, যাঁরা এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে মোদি সরকারের পদক্ষেপকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে, তাঁরাও এই বিষয় নিয়ে যুক্তি দেবে।