প্রত্যর্পণ বিল ঘিরে প্রতিবাদে উত্তাল হংকং (Hong Kong)। প্রায় মাসব্যাপী চলছে আন্দোলন। যার জেরে সোমবার সকাল থেকে হংকং বিমানবন্দর (Hong Kong airport) দিয়ে বন্ধ সব উড়ান ওঠা-নামা। বিমান বন্দরের চতুর্থ টার্মিনালটি এই নিয়ে টানা চার দিন বন্ধ পড়ে রয়েছে। বিনামবন্দরের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিক্ষোভের জেরে কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। প্রস্থান বিমান ও হংকংয়ের উদ্দেশ্যে আগত বিমান ছাড়া সব উড়ান বাতিল করা হয়েছে। প্রত্যর্পণ বিলের প্রতিবাদ করে বিক্ষোভকারীরা গত কয়েকদিন ধরেই বিমানবন্দরে (Hong Kong airport) জড়ো হচ্ছিল। সোমবার থেকে টানা তিন দিন সেখানে থাকার তারা পরিকল্পনা করে। এই আন্দোলনের জেরে হংকংয়ের প্রধান বিমান সংস্থা ক্যাথে প্যাসিফিকের শেয়ার মূল্যের রেকর্ড পতন হয়েছে।
বর্ণবিদ্বেষের প্রতিবাদ জানিয়ে ৭ লক্ষ ডলার পুরস্কার পেলেন আমেরিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী
এক সময়কার ব্রিটিশ কলোনি হংকং (Hong Kong) বর্তমানে চীনের অংশ। ‘এক দেশ, দুই নীতি'র অধীনে থেকে হংকং স্বায়ত্তশাসন ভোগ করছে। তার নিজস্ব আইন ব্যবস্থা ও বিচার ব্যবস্থা রয়েছে। গত ৯ জুন থেকে সেখানে প্রস্তাবিত অপরাধী প্রত্যর্পণ (Criminal extradition) বিল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা, ওই বিল অনুমোদন করা হলে ভিন্ন সুরে যারা কথা বলবে তাদের চীনের কাছে প্রত্যর্পণের সুযোগ থাকবে।
এরপরই হংকংয়ের (Hong Kong) মানুষ গণবিক্ষোভে শুরু করে। এই চাপে একটি পর্যায়ের পর ওই বিলকে ‘মৃত' বলে ঘোষণা দেন হংকংয়ের চীনপন্থী শাসক ক্যারি ল্যাম। তবে এতে আশ্বস্ত হতে পারচ্ছেন না মানুষ। তার জেরেই এই আন্দোলন।
এই ধরণের আন্দোলনের বিরোধীতা করে চিন (China) কড়া বার্তা দিয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই আন্দোলনের মধ্যে একটা সন্ত্রাসের গন্ধ রয়েছে। যা সমালোচনাযোগ্য। ভবিষ্যতের কথা ভেবে সবার উচিত আন্দোলন থেকে সরে আসা।
#HKPoliceState pic.twitter.com/5l2tMIz2oJ
- Joshua Wong 黃之鋒 (@joshuawongcf) August 11, 2019
সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে পুলিশ বিমান বন্দর জুড়ে কড়া নিরাপত্তার আয়োজন রেখেছে। মেট্রো স্টেশনগুলির মধ্যেও পুলিশ প্রথমবারের জন্য রাবার গ্যাস, বুলেট, টিআর গ্যাস নিয়ে মজুত রয়েছে। একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে বিক্ষোভকারীদের মারধর করছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ১৩ আন্দোলনকারী আহত হয়েছে। যাদের মধ্যে দু'জনের আবস্থা আশঙ্কাজনক।
গত এক মাস ধরে উত্তপ্ত হংকং। পরিস্থিতি না বদলালে ওই এলাকার অর্থনৈতিক অবস্থা অল্পদিনেই ভেঙে পড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে, নিরাপত্তা আধিকারিকদের কথায়, সশস্ত্র আন্দোলন হওয়ায় অনেকেই মুখ ফেরাচ্ছেন। যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ইঙ্গিত।
#AntiELAB protesters gather in Hong Kong's Victoria Park as #HongKongProtests continue for their 10th consecutive weekend despite a "very hot weather warning" issued by @ObservatoryHK #香港 pic.twitter.com/ov2BQJwwXW
- Bloomberg TicToc (@tictoc) August 11, 2019
চিনা সংস্থা ক্যাথে প্যাসিফিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের যেসব কর্মী আন্দোলনে যোগ দিয়েছে তাদের বহিষ্কারের জন্য। সংস্থা এক পাইলটকে সেই নির্দেশের ভিত্তিতে বসিয়ে দিয়েছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)