This Article is From May 14, 2018

পঞ্চায়েত ভোট শুরু হওয়ার পর, সকাল থেকেই বিরাট লাইন দেখা যাচ্ছে 

নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে আসাম, উড়িষ্যা, সিকিম এবং অন্ধ্র প্রদেশ থেকে সশস্ত্র বাহিনী এসেছে। 

পঞ্চায়েত ভোট শুরু হওয়ার পর, সকাল থেকেই বিরাট লাইন দেখা যাচ্ছে 

জলপাইগুড়িতে ছাতা মাথায় লাইনে দেখা গেলো ভোটারদের

কলকাতা:
পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত (গ্রামীণ) সংস্থাগুলির তিনটি স্তরে 38,616 জন প্রতিনিধি নির্বাচন করার জন্য সোমবার সকাল 7 টা থেকে ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হলো।

অনেকগুলি বুথের বাইরে লম্বা লাইন দেখা যায় কারণ সমস্ত সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডের লোক ধৈর্য ধরে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার জন্য অপেক্ষা করছে।

আগে থেকেই প্রি-পোল সার্ভে অনুমান করেছে যে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়াবে বিজেপি, এক্ষেত্রে কংগ্রেস ও বামপন্থীরা খুব একটা বেশি জায়গা করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে জায়গা করার জন্য তৃণমূল অনেকটা এগিয়ে গেছে বলেই বিপক্ষীয়দের দাবি।


West

সকাল থেকেই দেখা গেলো ভোটারদের লম্বা লাইন

গত মাসে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় থেকেই বিরোধীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম সশস্ত্র ঘটনা ঘটানোর আরোপ আনতে শুরু করে, তারা জানিয়েছে যে তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে দেওয়া হচ্ছিল না।

টেলিভিশনের বিভিন্ন চ্যানেলে বেশ কিছু জেলায় ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার এবং উপ-বিভাগীয় অফিসারদের সামনে সশস্ত্র সমাবেশ দেখা গেছিল এবং সম্ভাব্য প্রার্থীকে নির্বাচনী দপ্তরে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়।

বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছায় এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন (এসইসি) একদিনের মধ্যে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় সীমা বাড়িয়েছিল, মাত্র 12 ঘণ্টার মধ্যে এই আদেশ প্রত্যাহারের জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হয়।

বিচারপতি 1 মে, 3 এবং 5 তারিখে যে ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা ছিল তাতে স্থগিতাদেশ দেয়।যার ফলে 14 তারিখ একসাথে সারা বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট গ্রহণ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

34 শতাংশ আসনে কোনো রকম বিরোধী দলের প্রার্থীর মনোনয়ন জমা না পড়ার জন্য তৃনমূল সেই সমস্ত আসনে জয়লাভ করেছে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।কিন্তু পরবর্তীকালে সম্পূর্ণ বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের হাতে চলে যাওয়ার পর এই আসন গুলির ফলাফলাদেশ স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।

সম্পূর্ণ ভোট গ্রহণ পর্বটি যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয়, তার জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন প্রতিবেশী রাজ্য গুলি থেকেও বহু সংখ্যক সশস্ত্র বাহিনী মোতায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, প্রায় 71,500 জন সশস্ত্র বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে আসাম, উড়িষ্যা, সিকিম এবং অন্ধ্র প্রদেশ থেকে সশস্ত্র বাহিনী এসেছে। 
.