শিশু প্রসবের পরে গর্ভবতী মহিলার মৃত্যু ঘিরে আসানসোল জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে। “আমি আমার স্ত্রীকে ৫ জুন আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য নিয়ে এসেছিলাম। প্রথমে কোনও চিকিৎসাই হয়নি কারণ হাসপাতালের একটি বিছানায় ৪-৫ জনকে রাখা হচ্ছিল। সামাজিক দূরত্বের কোনও নিয়মই অনুসরণ করা হয়নি,” এএনআইকে জানিয়েছেন নিহত মহিলার স্বামী রবি কুমার যাদব।
রবি কুমার আরও বলেন, “একজন ডাক্তার আমার স্ত্রী এবং ওখানে অন্যান্য গর্ভবতী মহিলাদের বলেন যে কেন লকডাউনের সময় বাচ্চা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা?" তিনি বলেন, “তারপরে ৬ জুন একজন চিকিৎসক আসেন যিনি তাঁর চিকিত্সা করতে রাজি হন এবং সিজারিয়ান প্রসবের পরামর্শ দেন। যখন আমার স্ত্রীকে হুইলচেয়ারে করে লেবার রুমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখনই ওর প্রচুর ব্যথা শুরু হয়। হুইলচেয়ারেই ডেলিভারিও হয়ে যায়।”
তিনি আরও জানান, “প্রচণ্ড ব্যথা হওয়ার পরে হার্ট অ্যাটাকের কারণে আমার স্ত্রী মারা যান। চিকিত্সকের অবহেলার কারণেই এমনটা ঘটেছে। আমার স্ত্রী বলেছিলেন যে ডাক্তার চিকিত্সা শুরু করার পরেই তাঁর প্রচুর ব্যথা করতে শুরু করে। বাচ্চাটিও শ্বাস নিতে পারছিল না। হাসপাতালে ভেন্টিলেটারের ব্যবস্থা না থাকায় শ্বাস নিতে না পারায় সে মারা যায়।”