অশোক গেহলৌত ও শচীন পাইলটের সঙ্গে ছবি টুইট করলেন রাহুল গান্ধী।
নিউ দিল্লি:
সব জল্পনার অবসান। রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলৌত। যাঁর সঙ্গে তাঁর মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে 'লড়াই' চলছিল, সেই শচীন পাইলট অশোক গেহলৌতের ডেপুটি হিসেবে কাজ করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। আজ এই ঘোষণা করল কংগ্রেস। এই ঘোষণার খানিকক্ষণ আগেই স্বয়ং রাহুল গান্ধী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, এই দুই হেভিওয়েট নেতার মধ্যে সমস্যা মিটতে চলেছে। অশোক গেহলৌত ও শচীন পাইলটের সঙ্গে একটি ছবিও টুইট করেন রাহুল গান্ধী। তার ক্যাপশনে যা লেখা ছিল, সেটির বাংলা ততর্জমা করলে দাঁড়ায়- "রাজস্থানের সংযুক্ত রঙ"।
এই বিষয়ে ১০'টি তথ্য
গত ৩৬ ঘন্টা ধরে ৪১ বছর বয়সের শচীন পাইলটকে বোঝানোর জন্য বেশ কয়েক দফা বৈঠক চলে। বৈঠকে যোগ দেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও।
দলের চেনা ঐতিহ্য থেকে কিঞ্চিৎ বেরিয়ে গিয়ে দিল্লির কংগ্রেস কার্যালয়েই নাম ঘোষণা করা হয় অশোক গেহলৌতের।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু'বারের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলৌত ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে দলীয় নেতৃত্বের প্রথম পছন্দ ছিলেন। তাঁর মতো বর্ষীয়ান নেতাকে এত গুরুত্বপূর্ণ লোকসভা নির্বাচনের আগে মনঃক্ষুণ্ণ করতে চায়নি দলীয় নেতৃত্ব।
যদিও, নিজের মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য লড়াই জারি রেখেছিলেন শচীন পাইলটও। তাঁর দাবি ছিল, ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজস্থানে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা যখন ২০'তে গিয়ে ঠেকেছিল, সেই সময় তিনি দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে, মধ্যপ্রদেশেও যেমন দলের রাজ্য সভাপতি কমলনাথকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে, তেমনটা তাঁর ক্ষেত্রেও হোক।
গতকাল এমনই একটি টুইট করে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীত্বের লড়াইয়ের সমাপ্তির ব্যাপারেও আভাস দিয়েছিলেন রাহুল। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও কমলনাথের ছবি দিয়ে টুইট করে তিনি লেখেন, "সবথেকে বড় দুই যোদ্ধা হল ধৈর্য ও সময়"। এই কথাটি আসলে লিও টলস্টয়ের।
আজ সকালে রাজস্থানের আলওয়ারের রাস্তা আটকে দেন শচীন পাইলট যে গোষ্ঠীর মানুষ, সেই গুজ্জররা।
গতকাল সন্ধেবেলা এমন একটি বিক্ষোভ হয়েছিল রাজস্থানের কারাউলিতে। সেখানেও রাস্তা আটকে দেওয়া হয়। শচীন পাইলট বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকতে অনুরোধ করে টুইটারে লেখেন, "যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তাই আনন্দসহকারে গ্রহণ করব। রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীর সিদ্ধান্তই এ ক্ষেত্রে চূড়ান্ত।
গত রাতেই দিল্লি থেকে রাজস্থানের জয়পুরে উড়ে যাচ্ছিলেন অশোক গেহলৌত। তাঁকে শেষমুহূর্তে দিল্লি বিমানবন্দর থেকেই ফের ডেকে পাঠানো হয়।
তারুণ্য না অভিজ্ঞতা, শেষমেশ জয় হবে কার, প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সোনিয়া ও প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বৈঠক করেন রাহুল গান্ধী।
ছত্তিশগড়ে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য লড়াই টি এস সিং দেও এবং ভূপেশ বাঘেলের মধ্যে। কারও মতে, দলের রাজ্য সভাপতি ভূপেশ বাঘেল এগিয়ে আছেন লড়াইয়ে। কেউ আবার বলছেন টি এস সিং দেও'র কথা।
Post a comment