থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ব্যাঙ্কক/নয়াদিল্লি:
দশ সদস্যের অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনস বা আসিয়ান (ASEAN) দেশগুলি ও ব্লকের ছ’টি বাণিজ্যের অংশীদার দেশ— সব মিলিয়ে ষোলোটি দেশের মধ্যে সাত বছর ধরে আলোচনা তলার পর ঘোষিত হতে চলেছে বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্য চুক্তি রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ বা আরসিইপি (RCEP)। আজ এই চুক্তির সফলতার কথা ঘোষণা করবে আসিয়ান গোষ্ঠীর অন্যতম দেশ থাইল্যান্ড। শেষ মুহূর্তে ভারতের দাবির কারণে অধিক রাতের আলোচনা হল ব্যাঙ্ককে আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে। তারপরই এই কথা জানানো হয়েছে।
জেনে নিন আরসিইপি বা এই বৃহৎ চুক্তি সম্পর্কে পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ বা আরসিইপি-এর সদস্য সংখ্যা ১৬। আসিয়ান সদস্যভুক্ত দশটি ও ব্লকের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ছয় সদস্য যথা চিন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। আরসিইপি ব্লকটি বিশ্বব্যাপী মোট দেশজ উৎপাদনের এক তৃতীয়াংশ এবং বিশ্বের প্রায় জনসংখ্যার অর্ধেক অংশ।
২০১২ সালে আসিয়ান নেতাদের সঙ্গে ও ছয় অংশীদার দেশের আরসিইপি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় নম পেনে একবিংশতম আসিয়ান সম্মেলনে। লক্ষ্য ছিল আসিয়ান দেশ ও তাদের অংশীদারদের মধ্যে আধুনিক, উচ্চমানের এবং পারস্পরিক লাভজনক একটি বাণিজ্য চুক্তি তৈরি করা।
নতুন করে আরসিইপি চুক্তিকে কার্যকর করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেয় চিন। আমেরিকার সঙ্গে চিনের বাণিজ্য-লড়াইয়ের ফলে গত পাঁচ বছরে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়েছে।
চিনা আমদানির সম্ভাব্য বিপুল বন্যার কথা মাথায় রেখে ভারত ঘরোয়া বাজারকে রক্ষা করতে উদ্যোগী হয়ে দাবি জানিয়েছে।
তিনদিনের থাইল্যান্ড সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার তিনি জানান, ‘‘অস্থিতিশীল বাণিজ্য ঘাটতি''র প্রসঙ্গে ভারতের উদ্বেগ গুরুত্বপূর্ণ। ‘ব্যাঙ্কক পোস্ট' নামের এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এবিষয়ে জানান। বলেন, তাঁরা যুক্তিযুক্ত প্রস্তাব দিয়েছেন এবং এই আলোচনায় আন্তরিক ভাবে অংশ নিচ্ছে।
Post a comment