মনে করা হচ্ছে মমতা কৌশল স্থির করার ব্যাপারে অনুমতি দেওয়া হবে কিশোরকে(Prashant Kishor)
হাইলাইটস
- গত সপ্তাহে মমতা প্রশান্তর সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
- রবিবার প্রায় ঘণ্টাখানেকের আলোচনা হয় নীতিশ ও কিশোরের মধ্যে।
- ২০১৪ সালে প্রথম পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন প্রশান্ত।
পটনা: প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কী চুক্তি হল, তা জানার আগ্রহ তুঙ্গে। রবিবার নীতিশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দলের জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ছিল। দলের সহ সভাপতি কিশোরকে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই বসে থাকতে। নরেন্দ্র মোদী সরকারে মন্ত্রক বণ্টন নিয়ে অসন্তুষ্ট নীতিশ ওই ইস্যু নিয়ে ভাবছেন। নীতিশ কুমার বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে বিহারের ক্ষমতায় রয়েছেন। মনে করা হচ্ছিল, ২০২১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় ক্ষমতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে হয়তো সাহায্য পাবেন না কিশোরের(Prashant Kishor) থেকে। কিশোর তাঁর দারুণ সফল নির্বাচনী কৌশলের জন্য খ্যাতিমান। শনিবার এই ইস্যুতে নীতিশ কুমার বলেন, ‘‘আমি এটা পরিষ্কার করে বলে নিতে চাই, এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আগামীকাল দলের জাতীয় পর্যায়ের বৈঠক। প্রশান্ত কিশোর আমার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলবেন।''
বিজেপি না তৃণমূল, কোন কূল সামলাবেন? জানাবেন প্রশান্ত-ই: নীতিশ
সূত্রানুসারে জানা যাচ্ছে, রবিবার বৈঠকের আগে প্রায় ঘণ্টাখানেকের আলোচনা হয় নীতিশ ও কিশোরের (Prashant Kishor) মধ্যে। কিন্তু তাঁদের কথাবার্তা সম্পর্কে বিশদে কিছু জানা যায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, কিশোরকে মমতার সঙ্গে নির্বাচনী কৌশল নির্মাণের ব্যাপারে এগিয়ে যেতে বলা হবে। বাংলায় বিজেপির উত্থানের ফলে প্রবল চাপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভায় গতবারের ৩৪ থেকে তাঁর দল এবার নেমে এসেছে ২২-এ। ওদিকে বিজেপি দুই থেকে উঠে এসেছে ১৮-তে। এই পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে তিনি প্রশান্তর সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
পশ্চিমবাংলায় লক্ষ্য ২৫০ আসন, ২০২১-এর জন্য ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছে বিজেপি
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য প্রচারে যুক্ত থেকে প্রথম বার কিশোর(Prashant Kishor) খ্যাতির আলোয় আসেন। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে মতবিরোধের ফলে তিনি বিহারে মহাজোট ও পঞ্জাবে কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনী কৌশল নির্মাণের কাজে যুক্ত হন। গত বছর তিনি জনতা দল ইউনাইটেডে যোগ দেন। তাঁর শেষ বড় সাফল্য জগন্মোহন রেড্ডির প্রচারে অংশ নেওয়া। রেড্ডি অন্ধ্রপ্রদেশে বিপুল ভাবে জিতে ক্ষমতায় এসেছেন।
সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, নীতিশ কুমারের সঙ্গে মন্ত্রক বণ্টন বিভাজন নিয়ে বিজেপির মতবিরোধের ফলেই জোটসঙ্গীদের বাংলায় সম্ভাবনার ব্যাপারে তিনি ভিন্নমত পোষণ করছেন। গত ফেব্রুয়ারি থেকে প্রবল ওঠানামা লক্ষ করা যাচ্ছে কিশোরের ব্যাপারে। সেই সময় শিবসেনা নির্বাচনী কৌশল নির্মাণ করার ব্যাপারে কিশোরের সাহায্য চাইলে জনতা দল ইউনাইটেড জানিয়ে দেয়, অন্য দলের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন না কিশোর(Prashant Kishor)।
জয়ে ফিরতে জগনমোহন রেড্ডিকে বিপুল জয় এনে দেওয়া প্রশান্ত কিশোরের হাত ধরলেন মমতা
জনতা দল ইউনাইটেড রবিবার পরিষ্কার করে দেয়, তারা বিহারের বাইরে এনডিএ-র অংশ হিসেবে থাকবে না। জম্মু ও কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা ও দিল্লিতে তারা একাই লড়বে।
পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের সময় গণ্ডগোল হলে বিজেপি নীতিশ কুমারকে অনুরোধ করে প্রশান্ত কিশোরকে (Prashant Kishor) আটক করে তাঁকে বিহারে বাইরে বের করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু নীতিশ কোনও ব্যবস্থা নেননি। ২০১৫ সালে লালু যাদব ও কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর জোটের জয়ের পিছনে কারিগর ছিলেন প্রশান্ত।