This Article is From Jul 13, 2019

অসমের বন্যায় মৃত ৭, ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ, ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র

বন্যার জল ভাসিয়ে দিয়েছে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানকেও, অসমের বন্যায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে

অসমে বন্য়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ৮ লক্ষেরও বেশি মানুষ

গুয়াহাটি:

অসমের (Assam) বন্যায় (Assam Floods) প্রাণ গেল আরও একজনের। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা সাত। সরকারি মতে, ১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ বিপন্ন। অসমের ৩৩টি জেলার মধ্যে ২৫টিই ক্ষতিগ্রস্ত। পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ থেকে আরও খারাপ হচ্ছে। আগামী কয়েক ঘণ্টাতে আরও প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফে উদ্ধারকার্য চালানো হচ্ছে। তাদের তরফে নিচু এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের ত্রাণ শিবিরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রের তরফে রাজ্য সরকারকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২০,০০০ মানুষকে ৬৮টি ত্রাণ শিবিরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।  ফুঁসছে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ব্রহ্মপুত্র নদ (Brahmaputra River), অন্য ৫টি নদীর জলও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে বলে জানা গেছে।

এলাকার প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন এই বন্যার ফলে অসমে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৬ জনের। তবে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে সপ্তাহের শেষের দিকে অসমে আরও বৃষ্টি হবে, দুর্যোগের কারণে গোটা অসম জুড়েই বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি পরিষেবা। প্রশাসন সূত্রে খবর,২৭ হাজারেরও বেশি কৃষিজমি জলের তলায় চলে গেছে। 

“নিরাপদ বোধ করছি”:বললেন ভিনজাতে বিয়ে করায় হুমকি পাওয়া বিজেপি নেতার মেয়ে

প্রতিবেশী অরুণাচল প্রদেশেও (Arunachal Pradesh) লাগাতার বৃষ্টির কারণে চিন সীমান্তের লাগোয়া অঞ্চল (Indo-China border) তাওয়াংয়ে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুজন শিশুর। নাগাড়ে চলা বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন জায়গায় ভূমি ধসে পড়ে অনেক এলাকারই যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন।

এদিকে অসমের  ধেমাজি, লখিমপুর, বনগাইগাঁও ও বাড়পেতা এই বন্যার কারণে চরম ক্ষতিগ্রস্ত। প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন অসমের উঁচু অঞ্চলগুলির জল নিচু অঞ্চলে নেমে এসে আরও ভাসিয়ে দিচ্ছে এলাকার পর এলাকা, ফলে অবনতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির।

এদিক ভুটানের পক্ষ থেকেও বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

অসমের  ১৭ টি জেলার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বাড়পেটার, সেখানকার ৮৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে অসমের  বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থা।

মামলা হস্তান্তরের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে ভারতী ঘোষ

একশৃঙ্গ গণ্ডারের বাসভূমি বলে পরিচিত কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানেও বন্যার জল ঢুকে পড়ায় জঙ্গলের পশু প্রাণীরাও তাদের জন্যে তৈরি নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে।

কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের কাছে থাকা জাতীয় সড়ককে গাড়ি চলাচলের গতি সীমাবদ্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কারণ প্রাণীরা বন্যার জল থেকে দূরে পালাতে উঁচু জায়গায় পৌঁছানোর চেষ্টা করবে, এবং ওই জাতীয় সড়কও অতিক্রম করবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রভাবিত জেলাগুলির প্রশাসকদের সঙ্গে কথা বলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। তিনি জেলা প্রশাসকদের ঘন ঘন কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার নির্দেশ দেন এবং আপদকালীন পরিস্থিতিতে জনগণের আবেদনে সাড়া দিয়ে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন।

বন্যার কারণে এনসেফেলাইটিস রোগের প্রাদূর্ভাবের কারণে আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সমস্ত ছুটি বাতিল করেছে অসম সরকার।

গত ২০১৩ সাল থেকে বারবার অসমের ৯টি জেলায় এনসেফেলাইটিসের প্রকোপ দেখা গেছে। গোটা রাজ্যে এ পর্যন্ত এই রোগের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৭০০০রও বেশি মানুষজনের।

.