This Article is From Feb 12, 2020

“সরকার ধর্মনিরপেক্ষ”, সংস্কৃত টোল, মাদ্রাসা বন্ধ হতে চলেছে অসমে

অসমের বিজেপি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেখানকার প্রায় ২,০০০টি বেসরকারি মাদ্রাসার ওপর নজরদারি চালাতে কঠোর আইন আনা হবে

“সরকার ধর্মনিরপেক্ষ”, সংস্কৃত টোল, মাদ্রাসা বন্ধ হতে চলেছে অসমে

রাজ্যের প্রায় ২,০০০ মাদ্রাসার ওপর নজরদারি চালাতে কঠোর নিয়ম তৈরিরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। .

গুয়াহাটি:

রাজ্যের সমস্ত সংস্কৃত টোল এবং রাজ্য সরকারি মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসমের বিজেপি সরকার(Assam government), আগামী ৬ মাসের মধ্যে সেগুলিকে স্কুলে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পদক্ষেপের সপক্ষে, অসমের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, এটা “কোনও ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের কাজ নয়”, ধর্ম, আধ্যাত্ম এবং আরবির মতো ভাষার শিক্ষা প্রদান করা। ২০১৭ সালে মাদ্রাসা (Madrassas) এবং সংস্কৃত টোল বোর্ড (Sanskrit Tol Board) ভেঙে দিয়ে সেগুলিকে অসমে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে যু্ক্ত করে অসম সরকার, এবার সেগুলিকে বন্ধের পথে হাঁটল তারা। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা NDTV কে বলেন, “আমাদের ১,২০০ মাদ্রাসা এবং ২০০ সংস্কৃত টোল রয়েছে অসমে, তাদের কোনও চালানোর কোনও স্বাধীন বোর্ড নেই। অনেক সমস্যা হচ্ছে, কারণ, তারা মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের সমতূল শংসাপত্র পান। সেই জন্য সমস্ত মাদ্রাসা এবং সংস্কৃত টোল বোর্ডকে সাধারণ স্কুলে পরিণত করার সিধান্ত নিয়েছে সরকার”।

২০২১ থেকে দু'জনের বেশি সন্তান হলে আর মিলবে না সরকারি চাকরি! সিদ্ধান্ত মন্ত্রিপরিষদের

রাজ্যের প্রায় ২,০০০ মাদ্রাসার ওপর নজরদারি চালাতে কঠোর নিয়ম তৈরিরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তিনি বলেন, “যেহেতু রাজ্য সরকার ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান, ফলে তারা ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাতে পারে না। বেসরকারি মাদ্রাসা ও সংস্কৃত টোল চলতে পারে, তবে নিয়মিতভাবে সেখানে শিক্ষা চলছে কিনা, তা নজরদারি করতে আমরা নতুন আইন আনছি শীঘ্রই”।

Assam Citizens' List: "ভারত কি ধর্মশালা নাকি!": শরণার্থী প্রসঙ্গে বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, অভিভাবকদের সিদ্ধান্তের জন্য শিশুরা যাতে প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্ছিত না হয়, তার জন্য আমাদের এই পদক্ষেপ। তাঁর কথায়, “১৪ বছরের নিচে শিশুরা সেখানে যায়, তাদের অভিভাবকরাই ঠিক করেন, শিশুদের কোথায় ভর্তি করা হবে। অতিরিক্ত ধর্মীয় শিক্ষার কারণে বাচ্চারা প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্ছিত হোক, আমরা তা চাই না। আমরা একটি নির্দেশিকা আনব, যাতে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম থাকে এবং ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে যাতে স্বাভাবিক শিক্ষাও দেওয়া হয়”।

.