This Article is From Aug 21, 2018

অসম ইস্যুতে আরও চাপে বিজেপি, খসড়া বাঙালি বিরোধী বলল নাগরিক মঞ্চ

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই অভিযোগ করেছেন অসমের নাগরিক তালিকার চূড়ান্ত  খসড়া প্রকাশ করার একমাত্র লক্ষ্য বাঙালিদের বিতাড়িত করা।

অসম ইস্যুতে আরও চাপে বিজেপি, খসড়া বাঙালি বিরোধী বলল নাগরিক মঞ্চ

মঞ্চের দাবি অসমের বিজেপি সরকার  বাঙালি বিরোধী।

কলকাতা:

দাবি উঠছিল আগেই। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই অভিযোগ করেছেন অসমের নাগরিক তালিকার চূড়ান্ত  খসড়া প্রকাশ করার একমাত্র লক্ষ্য বাঙালিদের বিতাড়িত করা। এবার সেই একই কথা  বলল অসম নাগরিক মঞ্চ। সাংবাদিকদের মঙ্গলবার মঞ্চের নেতারা জানালেন এই খসড়া  বাঙালি বিরোধী। তাই অবিলম্বে এটি বাতিল করতে হবে।  2014 সালের ভোটার তালিকার উপর ভিত্তি  করে নতুন খসড়া তৈরির দাবিও করল মঞ্চ।  সম্প্রতি নাগরিকদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করে  40 লক্ষ মানুষের নাম বাদ দিয়ে  দেওয়া হয়। তার মধ্যে বাঙালি  সংখ্যায় বেশি। আর তাই ব্যাপারাটাকে বাঙালি খেদাও হিসেবেই দেখছেন মমতাঁর মতো অনেকে।

এদিন মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক বিজয় চক্রবর্তী বলেন, অসমের বিজেপি সরকার  বাঙালি বিরোধী। ওরা  বাঙালিদের   অসম থেকে বের করে দিতে চায়। এঁদের ভোট পেয়ে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে। আর এখন এঁদেরকেই রাজ্যছাড়া করতে চাইছে। এতদিন সবাই ছিল ভারতীয়  আর আজ বিদেশি হয়ে গেল!  এভাবে ধর্মের ভিত্তিতে দেশকে ভেঙে টুকরো  করতে চায় বিজেপি। আমরা সেটা হতে দেব না। আমাদের দাবি,  অবিলম্বে এই খসড়া বাতিল করা হোক। তৈরি হোক  নতুন খসড়া।

গত মাসে তালিকার চূড়ান্ত  খসড়া  প্রকাশের পর থেকে দেশ জুড় চর্চা চলছে। বিজেপিকে আক্রমণ করার এমন সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নয় বিরোধীরা। আর এ ব্যাপারে সবচেয়ে  বেশি সরব  মমতা। কখনও তিনি বলেন, এমন পদক্ষেপ করে নিজের দেশেই মানুষকে উদ্বাস্তু করে দেওয়া হল। আবার  কখনও বলেছেন, এ ধরনের কাজ হতে থাকলে দেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হবে। মাত্র দুদিন আগে বিশ্ব মানবতা দিবসে  টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী  জানান, আজ বিশ্ব মানবতা দিবস। মানবাধিকারকে শ্রদ্ধা করা আমাদের সংবিধানের অন্যতম মূল  ভিত্তি। আর তাই আজ অসমের  যে 40 লক্ষ মানুষের নাম নাগরিক তালিকার খসড়া থেকে বাদ গিয়েছে তাঁদের কথা ভেবে খারাপ লাগছে ,কষ্ট হচ্ছে।

বারবার  সরব হওয়ায়  তাঁকেই  আক্রমণ করে চলেছে  বিজেপি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী  সর্বানন্দ  সোনওয়াল বা বিজেপি সভাপতিও অমিত শাহ বারে বারে তৃণমূলকেই আক্রমণ করে চলেছেন। শুধু তাই নয়  অসমের বিভিন্ন থানায় মমতার নামে একাধিক এফআইআরও হয়েছে।

 

.