This Article is From Dec 12, 2019

‘‘আপনাদের সেবক মোদিকে বিশ্বাস করুন’’: উত্তর-পূর্বের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আর্জি

ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনের প্রচারে এসে তাঁদের শান্ত হওয়ার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘ দয়া করে আপনাদের সেবক মোদিকে বিশ্বাস করুন।

‘‘আপনাদের সেবক মোদিকে বিশ্বাস করুন’’: উত্তর-পূর্বের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আর্জি

অসমের (Assam) জনতাকে শান্ত হতে আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ধানবাদ:

এই ‘‘সেবক''কে বিশ্বাস করুন। এইভাবে উত্তর-পূর্ব বিশেষ করে অসমের (Assam) জনতাকে শান্ত হতে আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM MOdi)। বুধবার রাজ্যসভায় পাস হয়েছে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল। এরপর থেকেই আরও তীব্র হয়েছে ওই অঞ্চলের বিক্ষোভ। ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনের প্রচারে এসে তাঁদের শান্ত হওয়ার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এই মঞ্চ থেকে আমি আর্জি জানাই উত্তর-পূর্বকে, বিশেষ করে অসমের ভাইবোন ও তরুণদের, দয়া করে আপনাদের সেবক মোদিকে বিশ্বাস করুন। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে আমি উত্তর-পূর্বের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভাষা ও অধিকারের কোনও ক্ষতি হতে দেব না।''

তিনি আরও বলেন, ‘‘উত্তর-পূর্বের জীবনকে আরও সহজ করতে যা দরকার আমরা তা করব।''  

রাত তিনটে পর্যন্ত রাস্তা আটকে গাড়ি পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখায় অসমের প্রতিবাদকারীরা। তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। পরে সেখানে সেনা নামানো হয়। গুয়াহাটিতে কার্ফু জারি হওয়ায় আটকে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। ট্রেন চলছে না। বিঘ্নিত উড়ানও।

২০১৫ সালের আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এই বিতর্কিত বিলে। প্রতিবাদকারীদের দাবি, অসম চুক্তি এতে বিঘ্নিত হবে। ১৯৮৫ সালের অসম চুক্তিতে বলা হয়েছিল ১৯৭১ সালের মার্চের পর বাংলাদেশ থেকে আগত অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে নির্বাসিত করা হবে। আশঙ্কা, এই বিলের ফলে সেখানে বাংলাদেশ থেকে আগত অনুপ্রবেশকারীদের ঢল নামবে।

প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার এবং আমি সম্পূর্ণ দায়বদ্ধ সাংবিধান‌িক ভাবে অসমের জনগণের রাজনৈতিক, ভাষাগত, সাংস্কৃতিক ও ভূমি অধিকার রক্ষা করতে, যেমন ৬ নম্বর ধারায় বলা আছে।''

‘‘কংগ্রেস ও তাদের মিত্র''-দের এই বিক্ষোভে মদত দেওয়ার জন্য দায়ী করেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে টুইট করে প্রধানমন্ত্রী জান‌ান, ‘‘আমি আমার অসমের ভাই ও বোনদের নিস্চিত করতে চাই যে তাঁদের নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। আমি তাঁদের নিশ্চিত করতে চাই, কেউ আপনাদের অধিকার, পরিচয় ও সুন্দর সংস্কৃতিকে কেড়ে নেবে না। এটা আরও সমৃদ্ধশালী হবে ও বাড়বে।''

.