Assam NRC: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথাকেই আশ্রয় করে এনআরসি ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর।
নয়া দিল্লি: অসমের (Assam) লক্ষ লক্ষ মানুষের নাগরিকত্ব নির্ধারণকারী চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিক তালিকা বা এনআরসি-র প্রকাশের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন শশী থারুর (Shashi Tharoor)। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথাকেই অবলম্বন করে ওই কংগ্রেস সাংসদ টুইট করেন, "জাতীয়তাবাদ এবং জেনোফোবিয়া অর্থাৎ বিদেশিদের ভয় এই দুইয়ের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম রেখা রয়েছে"। অসমের এই নাগরিক তালিকা (NRC) থেকে বাদ পড়ে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম, চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পান ৩.১১ কোটি মানুষ। শনিবার সকালে প্রকাশিত হয় এই নাগরিকদের এই গুরুত্বপূর্ণ তালিকা -যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্য থেকে অবৈধ বাসিন্দাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। কোনও অশান্তি যাতে না ছড়ায় তাই বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্য জুড়ে কয়েক হাজার আধাসামরিক বাহিনী এবং পুলিশ মোতায়েন করে অসমের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
Assam NRC Website বিকল, সেবা কেন্দ্রগুলিতে তালিকা দেখার দীর্ঘ লাইন
"জাতীয়তাবাদ এবং জেনোফোবিয়া অর্থাৎ বিদেশিদের ভয় এই দুইয়ের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম রেখা রয়েছে, বিদেশিদের প্রতি ঘৃণা পরবর্তী সময়ে ভারতীয়দের মধ্যেও একে অপরের থেকে আলাদা করার বিষয়ে ঘৃণায় পরিণত হতে পারে", বলে গেছেন দেশের মহান ব্যক্তিত্ব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর" টুইটে লেখেন শশী থারুর।
এর আগেও বিজেপিকে জাতীয় নাগরিক নিবন্ধীকরণ তালিকা নিয়ে নিশানা করেছে অসমের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈ অভিযোগ করেন হিন্দু ভোট ব্যাংককে সন্তুষ্ট করার জন্য এনআরসিকে "বাতিল কাগজ" -এ পরিণত করতে চাইছে বিজেপি।
কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য আগেই বলেছে যে যাঁদের নাম অসমের (Assam) চূড়ান্ত নাগরিক তালিকায় স্থান পায় নি সমস্ত আইনি বিকল্প শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের এখনই বিদেশি ঘোষণা করা যাবে না। এনআরসির বাইরে থাকা প্রতিটি ব্যক্তি বিদেশি ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারেন এবং আবেদন করার সময়সীমা ৬০ থেকে বাড়িয়ে ১২০ দিন করা হয়েছে।
Assam NRC: তালিকা থেকে বাদ পড়া ব্যক্তিদের জন্য কী কী বিকল্প রয়েছে?
এর আগে নাগরিক সমাজ এবং কংগ্রেস এনআরসি কর্তৃপক্ষের দেওয়া "সন্দেহজনক ও বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী" পুনঃ-যাচাইকরণ নোটিসের দ্বারা সৃষ্ট "আতঙ্কজনক পরিস্থিতি" সম্পর্কে ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে চিঠি দেয়।
বিপুল সংখ্যক বাঙালি হিন্দুকে এনআরসি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বহু বিজেপি নেতাও। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরে বলেন যে এই তালিকায় বাদ পড়ে যাওয়া প্রকৃত নাগরিকদের ফের তালিকায় যুক্ত করার জন্য কেন্দ্র একটি আইন বিবেচনা করতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ১৯৫১ সালে অসমে প্রথম প্রকাশিত এনআরসিতেই আপডেট করা হচ্ছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুসারে অসমে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে যারা পৃথকভাবে ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের পরে বাংলাদেশ থেকে এই রাজ্যে প্রবেশ করেছেন তাদের আলাদা করা হচ্ছে।