Read in English
This Article is From Aug 31, 2019

“হিন্দুদের বিতাড়িত করার ষড়যন্ত্র”, NRC তালিকা নিয়ে অখুশী বিজেপি নেতা

Assam NRC: হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, NRC এর ওপর তাঁর কোনও বিশ্বাস নেই, এবং তিনি মনে করেন না যে, এর ফলে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সরানো যাবে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By

বিজেপি বিধায়ক শিলাদিত্য দেব বলেন, “হিন্দুদের তাড়িয়ে মুসলিমদের সাহায্য করার চক্রান্ত”.

গুয়াহাটি:

শনিবার অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর(NRC) চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তারপরেই সমালোচনায় সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল বিজেপি। তাদের বক্তব্য, অনেক প্রকৃত নাগরিকই তালিকার বাইরে রয়েছেন, বিশেষ করে যাঁরা ১৯৭১ এর আগে বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসেছেন। একাধিক ট্যুইটে অসমের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা লেখেন, “১৯৭১ এর আগে যাঁরা বাংলাদেশ থেকে শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন,. সেরকম অনেক নাগরিকেরই নাম বাদ পড়েছে, কারণ, শরণার্থী শংসাপত্র গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ”। অসমের বিজেপি নেতাদের মধ্যে, আগে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, NRC এর ওপর তাঁর কোনও বিশ্বাস নেই, এবং তিনি মনে করেন না যে, এর ফলে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সরানো যাবে।

Assam NRC Website বিকল, সেবা কেন্দ্রগুলিতে তালিকা দেখার দীর্ঘ লাইন

শনিবার সকালে প্রকাশিত হয় জাতীয় নাগরিকপঞ্জী তালিকা, তাতে বাদ পড়েছেন ১৯ লক্ষ মানুষ। এবার তাঁদের লড়াই করতে হবে এবং প্রমাণ করতে হবে, বহু দশক ধরেই অসমে বাস করছেন তাঁরা। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের বিদেশী বলে এখনই চিহ্নিত করা হবে না, ফরেনার্স ট্রাইবুনাল এবং আদালতে লড়তে পারবেন তাঁরা।

Advertisement

এনআরসি-র পরে, বিজেপি ইঙ্গিত দিয়েছে, নাগরিকত্ত্ব সংশোধনী বিল আনবে তারা। NDTV এর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, বিজেপি বিধায়ক শিলাদিত্য দেব অভিযোগ করেন, এনআরসি, “ হিন্দুদের বিতাড়িত করে মুসলিমদের সাহায্য করার অংশ”।

শিলাদিত্য দেব বলেন, “অধিকার সুরক্ষার জন্য, নির্ভুল এনআরসি চেয়েছিল মানুষ, তবে সেটা হয়নি...মনে হচ্ছে এটা হিন্দুদের বিতাড়িত করা এবং মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের বৈধতা দেওয়ার একটা ষড়যন্ত্র”।

Advertisement

অসম NRC-এর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত, ঠাঁই পেলেন ৩.১ কোটি মানুষ: ১০ টি তথ্য

তাঁর প্রশ্ন, “যখন অসম চুক্তি হয়েছিল, সেই সময় মনে করা হয়েছিল, প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশী মানুষ রয়েছেন, এখন তাঁরা কোথায় যাবেন”।

Advertisement

তিনি মনে করেন, এনআরসি সফটওয়্যার স্ক্রুটিনি করা প্রয়োজন, কারণ সেটি একটি বেসরকারি সংস্থা করেছে এবং তাতে সরকার যুক্ত ছিল না।

তিনি বলেন, “এখন নাগরিকত্ত্ব বিলের মাধ্যমে হিন্দুদের সুরক্ষিত করবে বিজেপি। আমরা খুব দ্রুতই এটা আনব”।

Advertisement

নাগরিকত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে, ১৯৭১ মার্চের আগে ফিরে যেতে হয়েছিল অসমের বাসিন্দাদের, সেই সময় পাকিস্তান থেকে ভাগ হওয়ার পর, এদেশে চলে আসেন।

নাগরিক পঞ্জীর বিষয়টি নজরে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের জন্য আরও সময় চেয়ে আবেদন করেছিল সরকার, যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।

Advertisement

Advertisement