This Article is From Aug 31, 2019

"শুধু অসম কেন! সংসদেও তবে NRC হোক!” কেন্দ্রকে আক্রমণ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর

"আমার বাবা তো বাংলাদেশে থাকতেন, তাহলে আমিও বহিরাগত!” বলেন লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

শনিবার সকালেই অধীর ও অন্যান্য কংগ্রেস নেতারা এনআরসি নিয়ে বৈঠক করেন

নয়াদিল্লি:

কেবল অসম কেন, সংসদেও এবার তবে NRC হোক! শনিবার বহুপ্রতীক্ষিত অসম নাগরিকপঞ্জী প্রকাশের  (NRC) পরে এভাবেই কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। অসমের নাগরিকদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ও সেই তালিকায় ১৯ লক্ষেরও কিছু বেশি মানুষের নাম বাদ যাওয়া প্রসঙ্গে অধীর বলেন, “কেন্দ্র সরকারের উচিৎ সংসদে এনআরসি পরিচালনা করা।” কংগ্রেস বরিষ্ঠ নেতারা আজ সকালে দিল্লির দশ নম্বর জনপথে বৈঠকে বসেন। সেখানে এনআরসি (NRC) তালিকা নিয়ে আলোচনা হওয়ার পরে সাংবাদিকদের উদ্দেশে অধীর চৌধুরী জানান যে, সরকার অসমে বিষয়টি পরিচালনা করতে ব্যর্থই হয়েছে। 

অসম NRC-এর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত, ঠাঁই পেলেন ৩.১ কোটি মানুষ: ১০ টি তথ্য

“দেশটা ওদেরই। ওরা যেখানে ইচ্ছা সেখানে এনআরসি (NRC) পরিচালনা করবে। তারা অসম এনআরসি পরিচালনা করতে সক্ষম হন নি, তারা অন্য রাজ্যেও যেতে পারেন। তাদের সংসদেও এনআরসি করা উচিৎ! আমার বাবা তো বাংলাদেশে থাকতেন, তাহলে আমিও বহিরাগত!” বলেন লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

কংগ্রেস বৈঠকে দলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান সোনিয়া গান্ধি, এ কে অ্যান্টনি, গৌরব গগৈয়ের মতো প্রবীণ কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অধীর বলেন, “কোনও প্রকৃত নাগরিককে কোনও অবস্থাতেই বহিষ্কার করা উচিত নয় এবং সমস্ত প্রকৃত নাগরিককে অবশ্যই সুরক্ষা দিতে হবে।”

যদিও সমালোচকদের পাল্টা জবাব দিয়ে বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি বলেন যে, দিল্লিতে অবৈধ অভিবাসীরা বিপজ্জনক হয়ে উঠছে! এখানেও এনআরসি দরকার। মনোজ তিওয়ারি বলেন, দিল্লিতে এনআরসি-র মতো ব্যবস্থা নেওয়া দলের নির্বাচনী ইস্তেহারের অংশ হবে আগামীতে। 

Assam NRC Website বিকল, সেবা কেন্দ্রগুলিতে তালিকা দেখার দীর্ঘ লাইন

শনিবার সকাল ১০ টায় আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়, তালিকায় নাম নেই ১৯ লক্ষ মানুষের। এনআরসি-র রাজ্য সমন্বয়কারী প্রতীক হাজেলা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, চূড়ান্ত এনআরসিতে অন্তর্ভুক্তির জন্য তিন কোটিরও বেশি মানুষ যোগ্য বলে প্রমাণিত হয়েছেন। এই তালিকা তৈরির উদ্দেশ্য আইনি নাগরিকদের চিহ্নিত করা এবং অবৈধ অভিবাসীদের উৎখাত করা।

এনআরসির প্রথম তালিকাটি ১৯৫১ সালে আসামে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। ৩০ জুলাই, ২০১৮ সালে এনআরসি খসড়া প্রকাশিত হয়েছিল, এতে প্রায় ৪০.৭ লক্ষ মানুষকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে বিশাল বিতর্ক হয়েছিল।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.