Assam Final NRC List: লঞ্চ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিকল হয়ে পড়ল অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
নয়া দিল্লি: অসমের বহু প্রতীক্ষিত এনআরসি তালিকাটি শনিবার সকাল ১০ টায় অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। তবে অনলাইনে ওই জাতীয় নগরিক নিবন্ধীকরণ তালিকা প্রকাশ হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই এনআরসি-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.nrcassam.nic.in বিকল হয়ে যায় বলে অভিযোগ। ক্লিক করলেই বার্তা দেওয়া হয় যে "সাইটে পৌঁছানো যাচ্ছে না,"। অনলাইনে ওয়েবসাইটে ক্র্যাশ করায় বিপাকে মানুষ, সেবা কেন্দ্রগুলিতে দীর্ঘ লাইন, নাম দেখার জন্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়ে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম, চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পান ৩.১১ কোটি মানুষ। অন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি www.assam.mygov.in চালু রয়েছে এবং লোকেরা নিজেদের নাম পরীক্ষা করতে পারছেন। আপডেট হওয়া এনআরসি তালিকাটি এনআরসি সেবা কেন্দ্র, সার্কেল অফিসারের কার্যালয় এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সকাল দশটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত চেক করা যাবে।
Assam NRC List: ৩.১১ কোটির স্থান তালিকায়, আপনার নাম কীভাবে পরীক্ষা করবেন
১৯৫১ সালের পরে দেশে প্রকাশিত দ্বিতীয় নাগরিক তালিকা এটি এবং এর লক্ষ্য রাজ্য থেকে অবৈধ বাসিন্দাদের চিহ্নিত করে বিতাড়িত করা।
এনআরসির চূড়ান্ত তালিকায় তাঁদের নাম যাচাই করার জন্য লোকেরা এনআরসি সেবা কেন্দ্রের বাইরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন।
Assam NRC:অসমের এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়ল ১৯ লক্ষ মানুষের নাম
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, যাদের নাম তালিকা থেকে বাদ গেছে তাঁদের পক্ষে যুক্তি শোনার জন্য পর্যায়ক্রমে কমপক্ষে এক হাজার ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে; এর মধ্যে ১০০টি ট্রাইব্যুনাল ইতিমধ্যেই খুলে দেওয়া হয়েছে এবং আরও ২০০টি আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই স্থাপন করা হবে। ট্রাইব্যুনালে কেউ মামলা হারলেও তাঁরা উচ্চ আদালত এবং তারপরে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করতে পারবেন। সকল আইনি বিকল্প শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকেই বিদেশি হিসাবে ঘোষণা করা হবে না বলে আশ্বস্ত করেছে মোদি সরকার।
অসমের চূড়ান্ত তালিকায় নিজের নাম দেখার জন্যে লম্বা লাইনে প্রতীক্ষা করছেন মানুষ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, "অসমের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকার বাইরে থাকা প্রতিটি ব্যক্তি বিদেশি ট্রাইব্যুনালগুলিতে আবেদন করতে পারবেন, যার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে"।
Assam NRC Final List: এনআরসি সেবা কেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন মানুষ
গত বছর প্রকাশিত খসড়া তালিকাতে ৪১ লক্ষ লোককে বাদ দেওয়া হয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ১৯৫১ সালে অসমে প্রথম প্রকাশিত এনআরসিতেই আপডেট করা হচ্ছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুসারে অসমে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে যারা পৃথকভাবে ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের পরে বাংলাদেশ থেকে এই রাজ্যে প্রবেশ করেছেন তাদের আলাদা করা হচ্ছে।.