Gang Rape: পুলিশ জানিয়েছে, গণধর্ষণের পরে কিশোরীকে খুন করে একটি গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় (প্রতীকী ছবি)
হাইলাইটস
- অসমে ১২ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করে খুন
- কিশোরীকে খুন করল তাঁরই ৭ পুরুষ বন্ধু
- অভিযুক্ত ৭ স্কুল ছাত্রকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ
তেজপুর: ক্রমশই এ কোন অন্ধকারের রাস্তায় হাঁটছে এই প্রজন্ম? গত শুক্রবার অসমে ১২ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণ (Assam Rape) করে খুন করার ঘটনায় ফের শিউরে ওঠে দেশ। পরে জানা যায়, ওই কিশোরী নিজের ৭ পুরুষ বন্ধুর যৌন লালসার শিকার হয়েছিল। অসমের বিশ্বনাথ জেলার ওই ঘটনার তদন্তে নেমে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ (Gang Rape) ও হত্যার অভিযোগে ৭ কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত ৭ জনই এবার দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা দিয়েছিল। কীভাবে এই বয়সেই মারাত্মক অপরাধপ্রবণ মন তৈরি হয়েছে এই কিশোরদের, তা আবারও চিন্তা বাড়াচ্ছে সমাজের! বান্ধবীকে শুধু গণধর্ষণ (Rape) করেই ক্ষান্ত হয়নি তাঁরা, কিশোরীকে খুন করে একটি গাছ থেকে ঝুলিয়ে দেয় ওই ৭ ছাত্র। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, রবিবারই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাঁদের ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ছিন্ন গোলাপের পাপড়ি, কলকাতায় বন্ধুদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার নাবালিকা!
ওই পুলিশ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ওই ৭ অভিযুক্ত গত শুক্রবার রাতে তাঁদের একজনের বাড়িতে পার্টি ও নৈশভোজের অজুহাতে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর তাঁকে ওই এলাকারই একটি কাছের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। নিজেদের যৌন লালসা মেটানোর পরেও বান্ধবীকে ছাড় দেয়নি তাঁরা, খুন করে কিশোরীকে। তারপর গোটা বিষয়টিকে আত্মহত্যার রূপ দিতে দেহটি গাছে টাঙিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় তাঁরা।
৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর খুনে অভিযুক্ত ব্যক্তির ফাঁসি স্থগিত করল সুপ্রিম কোর্ট
শুক্রবার রাতে মেয়েটি বাড়ি না ফেরায় তার বাড়ির লোক খোঁজখবর শুরু করে। পরে শনিবার ওই জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় মেয়েটির ঝুলন্ত দেহ। তারপরেই তদন্তে নামে পুলিশ।
ঘটনায় ৭ অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে মৃতার পরিবার। কিন্তু এই ঘটনা ফের একবার চিন্তার ভাঁজ ফেলল মেয়ের বাবাদের কপালে। যেভাবে দেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা উঠে আসছে তাতে এবার বোধহয় লজ্জায় মুখ ঢাকতে হবে গোটা নাগরিক সমাজকেই।