Read in English
This Article is From Oct 13, 2019

বর্ষার পরে আবার খুলল অসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান

বর্ষার মরশুম শেষে জনসাধারণের জন্য খুলল একশৃঙ্গ গণ্ডারের বৃহত্তর আবাসভূমি ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান (Kaziranga National Park)।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

এখানকার বিপুল জীব বৈচিত্রকে রক্ষা করার জন্য ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি ফ্লাই ওভার তৈরি কথাও ঘোষণা করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।

গুয়াহাটি:

বর্ষার মরশুমে বন্ধ থাকার পর শনিবার আবার খুলে দেওয়া হল কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান (Kaziranga National Park)। অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল (Sarbananda Sonowal) এই উদ্যানটি নতুন করে খুলে দিলেন জনসাধারণের জন্য। একশৃঙ্গ গণ্ডারের বৃহত্তর আবাসভূমি ইউনেস্কোর এই ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ'। বাগোরি ও মিনিমুখে অনুষ্ঠান চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী ওই পার্কের বাগোরি ও কোহোরা রেঞ্জের অংশটি উন্মুক্ত করেন। বাগোরি রেঞ্জের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার এই উদ্যানের সৌন্দর্যায়ন, সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য নানা পদক্ষেপ করেছে। ভারতকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এটা অ‌ত্যন্ত গর্ব ও সম্মানের বিষয় যে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান দেশের সবচেয়ে দর্শনীয় ১৭টি কেন্দ্রের মধ্যে একটি হিসেবে বর্ণিত হয়েছে।''

বামেদের সঙ্গে জোট গড়ে রাজ্য কংগ্রেসকে এগোনোর নির্দেশ সনিয়া গান্ধির

কাজিরাঙাকে আরও সুন্দর ও নয়নাভিরাম করে তোল‌ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত বাসিন্তা, রেস্তোরাঁ, হোটেল ও রিসর্টকে অনুরোধ জানান আশপাশের অঞ্চল পরিষ্কার করে রাখার জন্য।

Advertisement

এখানকার বিপুল জীব বৈচিত্রকে রক্ষা করার জন্য ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি ফ্লাই ওভার তৈরি কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

দেশে ধনীতম মুকেশ আম্বানি, এগোলেন আদানি

Advertisement

তিনি বলেন, রাজ্য সরকার কাজিরাঙা, মানস, ওরাং, ডিব্রু-সাইখোয়া অভয়ারণ্যের জীব বৈচিত্র ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় পদক্ষেপ করেছে। গত বছর ১.৮০ লক্ষ মানুষ এখানে এসেছিলে সেকথা জানিয়ে তিনি আহ্বান জানান, আগামী ১০ বছরে সেই সংখ্যাকে অন্তত ১ কোটিস করে তোলাটাই লক্ষ্য।

গণ্ডারের চোরাশিকার অনেক কমেছে একথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটা সম্ভব হয়েছে স্থানীয় মানুষ, অরণ্য কর্মী ও নিরাপত্তা কর্মীদের যৌথ প্রয়াসে। পাশাপাশি এই উদ্যানে উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতের ঘনত্বও অনেক বেড়েছে বলে জানান তিনি।

Advertisement

টাস্ক ফোর্স গঠন, চোরাশিকারীদের বিচারের জন্য ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠন, উচ্চভূমি নির্মাণ এবং বন্যার সময় পশুদের খাবার সরবরাহ ও চিকিৎসার দিকে নজর রাখা— এই সব পদক্ষেপের ফলেই এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।

দেখুন ভিডিও

  .  
Advertisement