মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানার নির্বাচন সংক্রান্ত ১০টি তথ্য এখানে:
মহারাষ্ট্রে ১৫০ আসনে লড়াই করছে বিজেপি, শিবসেনা লড়ছে ১২৪ আসনে। ছোটো জোটসঙ্গীরা লড়াই করবে বাকি ২৮৮ আসনে। বিরোধী শিবিরে, ১৪৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে কংগ্রেস, ১১৭ আসনে প্রার্থী দিয়েছে এনসিপি। বর্তমানে শিবসেনা-বিজেপির দখলে রয়েছে ২১৭ আসন, কংগ্রেস এবং এনসিপির রয়েছে ৫৬ আসন।
মহারাষ্ট্রে শাসকজোটের আসন সমঝোতা অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর পদ পাবে বিজেপি, উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে বসবেন উদ্ধব ঠাকরের দলের প্রতিনিধি। দেবেন্দ্র ফড়নবিশই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বলে ঘোষণা করেছে বিজেপি। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে, শিবসেনা বেছে নিতে পারে উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরেকে । যদিও সে সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে, বলেছেন, “রাজনীতিতে প্রথম পদক্ষেপের” পরেই শীর্ষপদ পান না একজন রাজনীতিবিদ।
বাল ঠাকরে শিবসেনা প্রতিষ্ঠা করার পর থেকে গত পাঁচ দশকে, ঠাকরে পরিবারের মধ্যে আদিত্য ঠাকরেই প্রথম নির্বাচনের ময়দানে। ওরলি কেন্দ্র থেকে ওয়াকওভার পেতে পারেন তিনি, এই কেন্দ্র বিরোধী প্রার্থী এনসিপির সচিন আহির।
.হরিয়ানায়, ৯০ আসনে জননায়ক জনতা পার্টি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই বিজেপির। ৯০ আসনে ৭৫টি আসনে জয়ের লক্ষমাত্র স্থির করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার। গতবার, হরিয়ানায় বিজেপি জিতেছিল ৪৮টি আসনে, কংগ্রেসের দখলে ছিল ১৭ আসন।
ভারতের জাতীয় লোকদল (INLD) থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জননায়ক জনতা পার্টি তৈরি করেছেন দুষ্মন্ত চৌটালা। দলের ভিত শক্ত হবে বলে আশাবাদী তারাও। ডিসেম্বরে চৌটালা পরিবারের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে এই দলটি তৈরি হয়েছে।
বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে, স্থানীয় ইস্যুগুলির জায়গায় বিজেপি সামনে এনেছে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর মতো ইস্যুগুলি, ফলে জাতীয়তাবাদের জোরদার প্রচার করেছে তারা।
নির্বাচনের আবহেও বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে শিবসেনা, বিরোধী শিবিরে যখন তেমন শক্তিশালী কোনও “লড়াকু” নেতা নেই, কেন এত জোরদার প্রচার করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারা। দলের বর্ষীয়ান নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, “মোদির ১০টি, অমিত শাহের ৩০টি সভা, মহারাষ্ট্রে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ১০০টি সভা সভা করার পিছনে কারণ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে”।
স্থানীয় ইস্যুগুলির ওপরে জোর দিয়েছে বিরোধীরা, তার মধ্যে রয়েছে কর্মসংস্থান এবং অর্থনীতি। তবে বিজেপি যেখানে নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথকে দিয়ে জোরদার হাইভোল্টেজ প্রচার চালিয়েছে, তাদের কাছে কিছুটা ফিকে বিরোধীদের প্রচারসভা। মহারাষ্ট্রে এনসিপি এবং কংগ্রেসের কোনও যৌথ সভা হয়নি।
নির্বাচনের আবহে, এনসিপির নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রফুল্ল প্যাটেলকে তাঁর সঙ্গে ইকবাল মিরচির স্ত্রী হাজরার সঙ্গে একটি জমি নিয়ে চুক্তির তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। একটি সমবায় ব্যাঙ্কের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে শরদ পাওয়ার এবং তাঁর ভাইপো অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে।
২০১৪-এ বিধানসভা নির্বাচনের মুখে জোট ভেস্তে যায় শিবসেনা এবং বিজেপির, রাজ্যে পৃথক ফল হওয়ার পর, আবার জোড়া লাগে। বিজেপি বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। নির্বাচনের আগে আলাদা হয়ে যাওয়া কংগ্রেস এবং এনসিপিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।