ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নতুন ভারত গড়ার লক্ষ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে অংশীদার হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
লন্ডন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নতুন ভারত গড়ার লক্ষ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে অংশীদার হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি এবং তার বান্ধবী ক্যারি সাইমন্ডস বৃহস্পতিবার সাধারণ নির্বাচনের আগে, লন্ডনের একটি বিখ্যাত হিন্দু মন্দিরে গিয়েছিলেন। প্রবাসী ভারতীয়দের কথা মাথায় রেখেই বৃহস্পতিবার সাধারণ নির্বাচনের আগে এই যাত্রা বলে মনে করা হচ্ছে।
৩১ বছরের কনজারভেটিভ পার্টির সাইমন্ডস উজ্জ্বল গোলাপী রঙের শাড়ি পরে ৫৫ বছরের বরিস জনসনের সঙ্গে উত্তর পশ্চিম লন্ডনের অন্যতম বিখ্যাত স্বামীনারায়ণ মন্দিরে গেছিলেন প্রচারের উদ্দেশে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির "নতুন ভারত "গড়ার মিশনে অংশীদার হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
"আমি জানি প্রধানমন্ত্রী মোদী নতুন ভারতবর্ষ গড়তে চান। আর আমরা তার প্রচেষ্টায় তাকে পুরোপুরি সাহায্য করব, বলেছেন মিস্টার জনসন। ওপিনিয়ন পোলে বর্তমানে বিরোধী লেবার পার্টির থেকে এগিয়ে রয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি।
নাম না করেও লেবার পার্টির ভারত বিরোধী যে অবস্থান কাশ্মীর বিষয়ে, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন এই দেশে জাতিবিদ্বেষ এবং ভারত বিরোধী কোন অনুভূতির জায়গা নেই বা থাকবে না।
"ব্রিটিশ ভারতীয়রা অতীতে কনজারভেটিভদের নির্বাচনে জিততে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। আমি যখন নরেন্দ্র ভাই (মোদিকে) এই কথা বললাম তখন তিনি হাসেন এবং বলেন ভারতীয়রা সব সময়ই জয়ী দলের সঙ্গে থাকে ।" এমনটাই বলেন তিলক এবং মালা পরা প্রানবন্ত বরিস জনসন।
মন্দিরের প্রসঙ্গে তিনি বলেন , "আমাদের দেশে হিন্দুরা যে শ্রেষ্ঠ উপহার আমাদের দিয়েছে তা হল মন্দিরটি। এক অদ্ভুত আধ্যাত্মিক চেতনা রয়েছে এই সম্প্রদায়ের মধ্যে। সমাজে যেভাবে সেবার কাজ করছে এই সম্প্রদায়, লন্ডন এবং সর্বোপরি যুক্তরাজ্য ভাগ্যবান আপনাদের পেয়ে।"
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব প্রীতি প্যাটেল উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে, আসলে স্বামীনারায়ান সংস্থার সভাপতি গুরু প্রমুখ স্বামী মহারাজ এর ৯৮ তম জন্ম দিবস উদযাপন এর জন্যই এই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ান স্টাইল এর পয়েন্ট ভিত্তিক অভিবাসন পদ্ধতি "fairer" ভিসা পদ্ধতি, গোটা বিশ্ব জুড়ে, এমনকি ভারতের শরণার্থীদের জন্য চালু করার বিষয়ে আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
"ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করার জন্য যে ভোট ছিল সেটি ছিল আমাদের সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার ভোট, কনজারভেটিভ সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার যা করবে তা হল ব্রেক্সিটকে পুরোপুরি সফল করবে এবং আন্দোলনের স্বাধীনতাকে শেষ করেই করবে তা। "
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)