ইউরোপিয় ইউনিয়ন নেতাদের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন অজিত দোভাল
শ্রীনগর: ইউরোপিয় ইউনিয়নের (European Union) সাংসদদের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের (Ajit Doval) ডাকা মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রিত ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের তিন নেতা (Kashmiri Leaders), তাঁদের মধ্যে একজন পিডিপির, এবং একজন কংগ্রেসের। মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরে উড়ে যাবেন এদেশে আসা ২৭জন সাংসদ, সোমবার পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (National Security Advisor) এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন তাঁরা। সূত্রের খবর, যে তিনজন মধ্যাহ্নভোজে উপস্থিত ছিলেন তাঁরা হলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মুজাফর বাইগ, প্রাক্তন পিডিপি নেতা আলতাফ বুখারি এবং কংগ্রেস নেতা উসমান মাজিদ।
কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা এবং বিভিন্ন কড়াকড়ির জন্য আটক রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। কয়েক সপ্তাহ আগে, জম্মু ও কাশ্মীরের নেতাদের আটক করে রাখার বিষয়টি প্রত্যাহার করা হয়, এখনও প্রায় ২৫০জন মূলধারার রাজনৈতিক নেতা গৃহবন্দি অথবা আটক রয়েছেন।
“গণতন্ত্রের অপমান”, জম্মু ও কাশ্মীরে বিদেশী প্রতিনিধিদের সফর নিয়ে মন্তব্য শশী থারুরের
যে তিনজন নেতা এদিনের মধ্যাহ্নভোজে উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা আটক নেতাদের তালিকার বাইরে, কেন্দ্রের ঘোষণার পর থেকে এই ধরণের কোনও অনুষ্ঠানে তাঁদের আমন্ত্রণ এই প্রথম, বিষয়টিকে কাশ্মীর উপত্যকায় নয়া রাজনৈতিক মুখের সন্ধান বলে মনে করা হচ্ছে।
গত মাসে, জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা করে ইউরোপিয় ইউনিয়ন, সেখানে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরাতে কেন্দ্রের পদক্ষেপের প্রশংসা করে তারা, অন্যদিকে, রাজ্যে নিষেষাধাজ্ঞার সমালোচনা করে।
এই সাংসদদের বেশীরভাগই দক্ষিণপন্থী, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের কেন্দ্রের ঘোষণার পর থেকে, এই প্রথম সেখানে সফরে কোনও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী।
কাশ্মীর পরিস্থিতি দেখতে ইউরোপীয় প্রতিনিধি দল, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ
ইউরোপিয় ইউনিয়নকে জম্মু ও কাশ্মীরে যেতে দেওয়ায় কেন্দ্রের সমালোচনা করেছে কংগ্রেস, বিরোধী নেতাদের সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
অগস্টে শ্রীনগর বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয় রাহুল গান্ধিসহ বিরোধী নেতাদের। রাহুল গান্ধি ট্যুইট করেন:
কংগ্রেস নেতা তথা শশী থারুর ট্যুইট করেন, “আমার অনুরোধ, যেটা আমি লোকসভায় ৩৭০ ধারা বিতর্কের সময় করেছিলাম, জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখতে, সর্বদলীয় প্রতিনিধি পাঠানো হোক, এখনও গ্রহণ করা হয়নি। অথচ সরকারের অতিথি হিসেবে সেখানে যেতে পারেন, ইউরোপিয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা? গণতন্ত্রের কী দারুণ অপমান”!