সিপিয়েম, কংগ্রেস, মাওবাদী ও বিজেপির মধ্যে যোগসূত্রের ইঙ্গিত করেন মমতা।
হাইলাইটস
- সিপিয়েম, কংগ্রেস, মাওবাদী ও বিজেপির মধ্যে যোগসূত্রের ইঙ্গিত মমতার
- মমতা এই চার দলের মৈত্রীকে "সমাজের অন্ধকারতম নীচুতলা" বলে অভিহিত করেন
- তৃণমূল প্রধানের সঙ্গে সোনিয়া গান্ধীর সম্পর্ক বরাবরই উষ্ণ।
কলকাতা:
2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জোটের কথা বলতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কংগ্রেসের বিরূদ্ধে পুনরায় বিষ উগরে দিলেন। দলীয় মিটিং-এ আজ কংগ্রেসকে একহাত নিলেন মমতা। এই মুহূর্তে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মমতা ব্যানার্জি কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিয়এম ও মাওবাদীদের একসঙ্গে টেনে এনে তাদের "সমাজের অন্ধকারতম নীচুতলা" বলে অভিহিত করলেন মমতা।
"সিপিয়এম তো বিজেপির পায়ে পড়ে যাচ্ছে একদম। কংগ্রেস দিল্লিতে তুমুল বিরোধিতা করছে বিজেপির। আর এখানে ওদের হাত ধরে রয়েছে। কংগ্রেসের নীতি, আদর্শগুলো এখন কোথায় গেল? সিপিয়এম, কংগ্রেস, মাওবাদী, বিজেপি এরা সবাই হল সমাজের অন্ধকারতম নীচুতলা", বলেন তৃণমূল প্রধান।
এই দলগুলির মধ্যে যোগসূত্রের কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, "চারটে মাথা এখন এক জায়গায় হয়ে গিয়েছে। ওরা টাকা লুঠ করছে, চুরি করছে এবং আগুন জ্বালাচ্ছে রাজ্যে"।
মাসখানেক আগেই মুখ্যমন্ত্রী একইরকমভাবে কংগ্রেসের বিরূদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। রাজ্য কংগ্রেস পঞ্চায়েত নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে হিংসা ছড়ানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করেছিল। বাম ও বিজেপিও তাঁর বিরূদ্ধে একই অভিযোগ আনে।
এক সময়ের কংগ্রেস নেতা মমতা ব্যানার্জি দল ভেঙে বেরিয়ে নতুন দল তৃণমূল কংগ্রেস গড়ার পরেও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সবসময়েই উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। যদিও 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপি বিরোধী জোটে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে মমতার কী মনোভাব, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আয়োজিত প্রীতি সম্মেলনগুলিতে তিনি নিয়মিত তাঁর প্রতিনিধিদের পাঠিয়ে থাকেন। গত বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধীর উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার পার্টিতেও দীনেশ ত্রিবেদীকে পাঠিয়েছিলেন মমতা। এমনকি, গত মাসে কুমারস্বামীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সোনিয়া গান্ধীকে আলিঙ্গন করেন তিনি। গত রোববার দিল্লিতে কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি।