পছন্দের খাবার থেকে তাঁকে দূরে রাখা ছিল কার্যত অসম্ভব।
নিউ দিল্লি: ব্যক্তি অটল, বক্তা অটল, কবি অটল, নেতা অটল- প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীকে এভাবেই চেনে দেশ। কিন্তু তাঁর পরিচিতদের কাছে আরও একটা বিশেষ পরিচয় ছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর। সেই অটল খাদ্য রসিক। মিষ্টি থেকে শুরু করে কাবাব এবং চিংড়ি মাছ পেলে আর কিছুই মনে থাকত না তাঁর। সরকারি বৈঠক হোক বা অন্য যে কোনও অনুষ্ঠান- পছন্দের খাবার থেকে তাঁকে দূরে রাখা ছিল কার্যত অসম্ভব। শরীরে একাধিক রোগ থাকায় মিষ্টি খাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু যাই হোক না কেন গুলাব জামুন হোক বা কানপুরের থাগগু কি লাড্ডু খাওয়া থেকে তাঁকে আটকায় এমন সাধ্য কার। কানপুর থেকে বিজেপি নেতারা যতবার অটলের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন ততবার একটি বিশেষ দোকান থেকে লাড্ডু কিনে নেয় যেতেন।
বাজপেয়ীর সঙ্গে কাজ করা সরকারি আমলারাও জানতেন তাঁর খাদ্যপ্রীতির কথা । তিনি যেখানেই যেতেন চেখে দেখতেন স্থানীয় খাবার। হায়দরাবাদে গিয়ে বিরিয়ানি এবং হালিম, কলকাতায় ফুচকা বা লখনউয়ে গালটি কাবাব না খেয়ে ফিরে গিয়েছেন এমনটা হয়নি কখনও। ক্যাবিনেট বৈঠকেও বাদাম খেতে দেখা যেত তাঁকে। বাজপেয়ীকে স্মরণ করে এক প্রাক্তন আমলা বলেন, কোনও দিন নিজেকে আড়ালে রাখেননি বলেই এত ভালবাসা পেয়েছেন প্রয়াত নেতা।