বাজপেয়ীর সঙ্গে কাজ করা সরকারি আধিকারিকদেরও জানা ছিল ব্যাপারটা।
নিউ দিল্লি: ব্যক্তি অটল, বক্তা অটল, কবি অটল, নেতা অটল- প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীকে এভাবেই চেনে দেশ। কিন্তু তাঁর পরিচিতদের কাছে আরও একটা বিশেষ পরিচয় ছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর। সেই অটল খাদ্য রসিক। মিষ্টি থেকে শুরু করে কাবাব এবং চিংড়ি মাছ পেলে আর কিছুই মনে থাকত না তাঁর। সরকারি বৈঠক হোক বা অন্য যে কোনও অনুষ্ঠান- পছন্দের খাবার থেকে তাঁকে দূরে রাখা ছিল কার্যত অসম্ভব। শরীরে একাধিক রোগ থাকায় মিষ্টি খাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু গুলাব জামুন বা যে কোনও মিষ্টির আকর্ষণই অস্বীকার করতে পারতেন না তিনি।
তিনি মিষ্টি খাবেন এবং তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন তাঁকে বাধা দেবেন – এটা প্রায় সকলেরই জানা ছিল। তেমনই একজন বাজপেয়ী ঘনিষ্ঠ প্রবীণ সাংবাদিক রাশিদ কিদওয়াই। তাঁর থেকেই জানা গিয়েছে একটি মজার ঘটনা।
বাজপেয়ী তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী। একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছেন। অন্য সব বাদ দিয়ে পা বাড়িয়েছেন ফুড কাউন্টারের দিকে । থরে থরে সাজানো গুলাব জামুন দেখে নিজেকে সামলাতে পারেননি তিনি। তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েকজন বুঝলেন ব্যাপারটা। ঠিক করলেন বাজপেয়ীকে মিষ্টি খেতে দেওয়া যাবে না। উপায় পাওয়া গেল সহজেই। একই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মাধুরি দীক্ষিত। তাঁকেই আসরে নামানো হল। সকলেই জানতেন ছবি দেখতে এবং তা নিয়ে আলোচনা করতে ভালবাসেন বাজপেয়ী। আর তাই মাধুরিকে সেই কাজটাই করতে বলা হল। সিনেমার গল্পে মেতে উঠলেন অটল। দীর্ঘ সময় কথা বললেন দুজন। আর সেই ফাঁকে ফুড কাউন্টার অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হল।
এরকম গল্পের সংখ্যা একাধিক। বাজপেয়ীর সঙ্গে কাজ করা সরকারি আধিকারিকদেরও জানা ছিল ব্যাপারটা। তিনি যেখানেই যেতেন চেখে দেখতেন স্থানীয় খাবার। হায়দরাবাদে গিয়ে বিরিয়ানি এবং হালিম, কলকাতায় ফুচকা বা লখনউয়ে গালটি কাবাব না খেয়ে ফিরে গিয়েছেন এমনটা হয়নি কখনও। ক্যাবিনেট বৈঠকেও বাদাম খেতে দেখা যেত তাঁকে।