Read in English
This Article is From Aug 16, 2018

65 বছরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলাম আমরাঃ আডবাণী

এই শোককে ব্যাখা করার মতো কোনও শব্দ আমার কাছে এই মুহূর্তে নেই। গভীর শোকের মধ্যে রয়েছি আমি খবরটি পাওয়ার পর থেকেই।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By

চিরকালই একজন বন্ধু হয়ে দিশা দেখিয়েছেন আমাকে অটলজিঃ আডবাণী

নিউ দিল্লি:

ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসে তাঁদের দুজনের বন্ধুত্বের গল্প প্রায় মিথ হয়ে রয়েছে। কখনও কখনও যে কোনওরকম চড়াই-উতরাই আসেনি, তা নয়। কিন্তু, তা ভেদ করে শেষমেশ যেন জিতে গিয়েছে সেই বন্ধুত্বই। ওই দুই চিরকালীন বন্ধুর একজন আজ চলে গেলেন। ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম কর্ণধার ও দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী। আজ বিকেল পাঁচটা বেজে পাঁচ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন নিউ দিল্লির এইমসে। চলে গেলেন তিরানব্বই বছর বয়সে।

গত দিনকয়েক ধরেই তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছিল। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এই তিরানব্বই বছর বয়সী রাজনৈতিক নেতা দলমত নির্বিশেষে সবার কাছ থেকেই একইরকম সম্মান ও শ্রদ্ধা পেয়ে এসেছেন। গত 11 জুন থেকে এইমসে কিডনির সংক্রমণ, বুকে ব্যথা ও মুত্রাশয়ের সমস্যার জন্য ভর্তি ছিলেন তিনি। অবস্থার ক্রমশ অবনতি হওয়ায় তাঁকে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছিল।

তাঁর মৃত্যুতেই শোকপ্রকাশ করলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রিসভা সদস্য ও বাজপেয়ীর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা লালকৃষ্ণ আডবাণী। তিনি বলেন, “অটলজিকে দেশের ইতিহাস মনে রাখবে এই দেশের প্রথম অ-কংগ্রেসি স্থিতিশীল সরকারের প্রধান হিসেবে। তাঁর সহকারী হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রিসভায় টানা ছ’বছর কাজ করার দুর্লভ অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার। যা আমাকে গর্বিত করে”।

Advertisement

তাঁর বিবৃতিটিতে লালকৃষ্ণ আডবাণী বলেন:-

এই শোককে ব্যাখা করার মতো কোনও শব্দ আমার কাছে এই মুহূর্তে নেই। গভীর শোকের মধ্যে রয়েছি আমি খবরটি পাওয়ার পর থেকেই। অটলজি শুধু আমার বয়সে বড় সহকর্মীই ছিলেন না। তিনি ছিলেন দীর্ঘ 65 বছর ধরে আমার ঘনিষ্ঠতম বন্ধুও। আমাদের দুজনের আরএসএসের প্রচারক হিসেবে কাটানো দিনগুলির কথা মনে পড়ছে। তারপর তৈরি হল ভারতীয় জনসংঘ। মনে পড়ছে জরুরি অবস্থার কালান্তক দিনগুলির কথাও। যার কয়েকদিন পরেই 1980 সালে তৈরি হয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি।

Advertisement

আমার বয়সে বড় সহকর্মী হিসেবে তিনি বারেবারেই আমাকে রাজনৈতিকভাবে ও ব্যক্তিগত জীবনেও দিশা দেখিয়েছেন।

তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার অসামান্য ক্ষমতা, মুগ্ধ করে রাখার মতো বাগ্মীতা, তাঁর মানবতাবোধ, নেতিবাচক পরিস্থিতিতেও মাথা ঠাণ্ডা রেখে এগিয়ে চলার ক্ষমতা আমাকে প্রবলভাবে উদ্বুদ্ধ করত। ওই দিনগুলোর স্মৃতি হাতড়েই এখন বেঁচে থাক। খুব মনে পড়ে…এক বন্ধু চলে গেল। আমি একা রয়ে গেলাম।

Advertisement

গোটা দেশবাসীর মতোই আমিও আপনাকে খুব মিস করব, অটলজি…  

 
নিউ দিল্লি

Advertisement

16 অগস্ট 2018

Advertisement