This Article is From Jul 09, 2019

বাংলাদেশ বাঁধ তৈরি করায় শুকিয়ে যাচ্ছে আত্রেয়ী নদী, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ বাঁধ তৈরি করার ফলে গরমকালে এই নদীর জল খুবই নেমে যাচ্ছে, প্রায় শুকিয়েই যাচ্ছে।

বাংলাদেশ বাঁধ তৈরি করায় শুকিয়ে যাচ্ছে আত্রেয়ী নদী, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
কলকাতা:

বাংলাদেশ বাঁধ তৈরির করার ফলে শুকিয়ে যাচ্ছে আত্রেয়ী নদী, মঙ্গলবার বিধানসভায় এমনটাই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে ঢাকার সঙ্গে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করছে না নয়াদিল্লি। বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তরে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেন, “বাঁধ তৈরির ফলে, দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দাদের ভোগান্তি হচ্ছে। রাজ্য থেকে কেন্দ্রকে সবকিছু পাঠানো হয়েছে, তবুও কেন্দ্র বিষয়টি দেখছে, এবং এটিকে হাল্কাভাবে নিচ্ছে”। শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশ হয়ে আবারও দক্ষিণ দিনাজপুরে এসেছে আত্রেয়ী নদী। এই নদীর জলের ওপরেই নির্ভর করে চাষের কাজ থেকে শুরু করে জীবিকা নির্বাহ করেন মৎস্যজীবীরা।

"পরিস্থিতি অনুকুলে হলে তিস্তার জলচুক্তি মেনে নিতাম", বললেন মুখ্যমন্ত্রী

প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ আত্রেয়ী নদী। প্রায় হাজারখানেক মানুষের জীবন জীবিকা নির্ভরকরে এই নদীর জলের ওপর। তবে সম্প্রতি কয়েকবছরে, বাংলাদেশে বাঁধ তৈরির ফলে আত্রেয়ীর জলস্তর ব্যাপকভাবে নেমে গিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ বাঁধ তৈরি করার ফলে গরমকালে এই নদীর জল খুবই নেমে যাচ্ছে, প্রায় শুকিয়েই যাচ্ছে। এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছি”।

বিধানসভায় তপশিলি জাতি, উপজাতি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী

এর আগে তিস্তা জলবন্টন চুক্তি নিয়েও বিধানসভায় বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিধানসভায় বলেন, পরিস্থিতি যদি অনুকুলে হত, তাহলে “বন্ধুত্ত্বপূর্ণ” প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে জলবণ্টন মেনে নিতেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তিস্তার  জলবণ্টন মেনে না নেওয়ায় তারা দুঃখ পেয়েছে...আমার ক্ষমতা থাকলে, নিশ্চিতভাবেই আমি তাদের সঙ্গে তিস্তার জল বণ্টন মেনে নিতাম ...আমার কোনও সমস্যা নেই...বাংলাদেশ আমাদের বন্ধু...এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই”।

পদ্মাপারের দেশের সঙ্গে তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে এপার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন, বাংলাদেশের সঙ্গে জলবণ্টন চুক্তি করেছিলেন জ্যোতি বসু”।

২০১৭-এ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তিস্তা শুকিয়ে যাচ্ছে। যদি এখানকার জল আমরা দিই, তাহলে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ির মানুষদের সমস্যা হবে, কাষের কাজ করতে পারবেন না কৃষকরা...আমি একথা বলছি, কারণ আমি সেখানকার পরিস্থিতি দেখেছি”। এরপরেই তোর্সা, মানসী, সঙ্কোশ এবং ধানসাই নদীর জল বণ্টনের প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.