অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
আজ দুপুরবেলা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছুঁড়ে মেরেছিল জনৈক ব্যক্তি৷ অভিযুক্তকে সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম অনিল কুমার শর্মা। যে সময় এই ঘটনাটি ঘটে, তখন অরবিন্দ কেজরিওয়াল মধ্যাহ্নভোজনে যাচ্ছিলেন। তাঁর কক্ষের ঠিক বাইরে তৃতীয় তলায় ঘটে এই ঘটনাটি। এই ঘটনাটিকে 'অত্যন্ত গুরুতর আক্রমণ' বলে অভিহিত করে আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়, "দিল্লি পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার বড় ফাঁক সামনে চলে এল এই ঘটনার মাধ্যমে। দিল্লিতে এমনকি মুখ্যমন্ত্রীও নিরাপদ নন"। আম আদমি পার্টির মুখপাত্র রাঘব চাড্ডা জানান, ঘটনার সময় তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ঠিক পিছনেই ছিলেন। ওই ব্যক্তি কেজরিওয়ালের হাতে একটি চিঠি দিয়ে তাঁকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে গিয়ে আচমকা উঠে দাঁড়িয়ে চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছুঁড়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। আপাতত তদন্ত চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই কাজটি অভিযুক্ত ব্যক্তি 'অনিচ্ছাকৃত'ভাবে করার চেষ্টা করেছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেই সম্ভাবনাও।
আম আদমি পার্টির নেত্রী অলকা লাম্বা অভিযোগ করেন, "দিল্লির রাজ্য সরকারের সদর দফতরে এমন ঘটনা বারবার ঘটে চলেছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নির্দেশেই যে এমন ঘটনা বারবার ঘটছে, সেটাও আমরা ভালোই বুঝতে পারছি"।
বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ শিশোদিয়া বলেন, "এই কাজগুলো যে বিজেপি অণ্গুলিহেলনেই ঘটে চলেছে, তা স্পষ্ট। তবে, এই কথাটিও জানিয়ে রাখা প্রয়োজন যে, বিজেপি যদি মনে করে গুন্ডা পাঠিয়ে আমাদের ভয় পাওয়াবে, তাহলে ওরা সম্পূর্ণ ভুল করবে"।
যাদিও, মুখ্যমন্ত্রীর ওপর আক্রমণের প্রতিবাদ করেছে দিল্লি বিজেপিও। দিল্লির বিজেপি প্রধান মনোজ তিওয়ারি বলেন, "আমরা মুখ্যমন্ত্রীর ওপর এই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। তদন্ত চলছে। যে বা যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের কঠোর শাস্তি হবে"।
এই ঘটনার একযোগে নিন্দা করেছেন যোগেন্দ্র যাদব অথবা আশুতোষের মতো আম আদমি পার্টির প্রাক্তন নেতারাও।
৫০ বছর বয়সী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন আক্রমণের সম্মুখীন হয়েছেন। কালি, চড়, জুতো ছুঁড়ে মারার মতো ঘটনা এর আগেও ঘটেছে তাঁর সঙ্গে।
দেশের আরও গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় খবর পড়ার জন্য চোখ রাখুন এখানে।