Read in English
This Article is From Jun 27, 2020

চিন সীমান্তে ফের অশান্তির চেষ্টা করলে যোগ্য জবাব মিলবে, হুঁশিয়ারি ভারতের

Ladakh Standoff: লাদাখের গালওয়ান উপত্যকার উপরে চিনের সার্বভৌমত্বের দাবি "সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক", সাফ জানালেন চিনে কর্তব্যরত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Vikram Misri: গালওয়ান উপত্যকা নিয়ে চিনের দাবি অতিরঞ্জিত, বলেন রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিশ্রি

Highlights

  • কিছুদিন ধরেই ভারত-চিন সীমান্তে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে
  • গত ১৫ জুন চিনা সেনার সঙ্গে ভারতীয় সেনাদের সংঘর্ষ বাঁধে
  • দুই দেশের মধ্যে শান্তি ফেরাতে একাধিক প্রচেষ্টা চলছে
নয়া দিল্লি:

পূর্ব লাদাখের (Ladakh Standoff) গালওয়ান উপত্যকায় যদি এখনও চিন কোনও অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করে তবে তার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে, রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে বলল ভারত। শুধু তাই নয়, ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও (India-China) এর প্রভাব পড়বে বলেও প্রতিবেশী দেশটিকে সতর্ক করা হল। ভারতের দাবি, পূর্ব লাদাখে চিনা সেনার দাপাদাপি বন্ধ করুক বেজিং। চিনে দায়িত্বরত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিশ্রি (Vikram Misri) সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তা আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার একমাত্র রাস্তা হ'ল চিনের তরফ থেকে সেখানে নতুন নির্মাণ বন্ধ করা। তিনি বলেন, "গালওয়ান উপত্যকার উপর চিনের সার্বভৌমত্বের দাবি মোটেই যুক্তিযুক্ত নয়"। চিনের এই ধরনের অতিরঞ্জিত দাবিগুলি যে কোনও কাজে আসবে না, সেকথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে দু'দেশের মধ্যে এই চাপানউতোর শুধু যে ওই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করবে তাই নয়, চিনের এই কার্যকলাপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলবে এবং পাল্টা প্রতিক্রিয়াও সৃষ্টি করবে।

নতুন উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল চিনা নির্মাণ, সেনা মোতায়েনের ছবি

ভারতের রাষ্ট্রদূত বলেন, "দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির জন্যে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা একটি অপরিহার্য শর্ত। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে চিনের সেনাবাহিনীর এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কোনও শর্তই মেনে চলছে না। চিনের উচিত ভারতীয় সেনার সাধারণ টহলদারিতে বাধা সৃষ্টি না করা।

Advertisement

চিন সীমান্ত থেকে দেশের জন্য বার্তা সেনার, দেখুন সেই ভাইরাল ভিডিও

তিনি বলেন যে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণের রেখা নিয়ে ভারত সব সময় শর্তাবলী ও নির্দিষ্ট চুক্তি মেনে চলেছে। এবার চিনকে ক্রমাগত দু'দেশের মধ্যে থাকা এই সীমানা লঙ্ঘন বন্ধ করতে হবে এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় অঞ্চলে করা তাঁদের নির্মাণ বন্ধ করতে হবে।

Advertisement

বিক্রম মিশ্রি আরও বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভালোভাবে টিকিয়ে রাখা চিনেরও দায়িত্ব।

বৃহস্পতিবার চিনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডং বলেন যে, সীমান্তে উত্তেজনা হ্রাস করার দায়িত্ব ভারতের উপরেই রয়েছে। সেই মন্তব্যেরই পাল্টা জবাব দিয়ে মিশ্রি বলেন, "আমি মনে করি আমরা খুব স্পষ্ট নীতি নিয়ে অত্যন্ত সামঞ্জস্য রেখেই চলছি, এই অশান্তি তৈরি করেছে চিন, ওই দেশের সেনার পদক্ষেপই বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী"।

Advertisement

১৫ জুন ফের ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে, যাতে প্রাণ যায় ২০ জন ভারতীয় সেনার ও আহত হন কমপক্ষে ৭৬ জন।

Advertisement