সুইডেনের নাগরিক তসলিমা ২০০৪ সাল থেকে টানা এদেশে বসবাসের অনুমতি পাচ্ছেন।
হাইলাইটস
- সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিনের ভারতে থাকার অনুমতি এক বছর বাড়ানো হল
- ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হন তসলিমা নাসরিন
- সুইডেনের নাগরিক তসলিমা ২০০৪ সাল থেকে টানা এদেশে বসবাসের অনুমতি পাচ্ছেন।
নয়াদিল্লি: বিতর্কিত বাংলাদেশি সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিনের (Taslima Nasreen) ভারতে থাকার অনুমতি এক বছর বাড়ানো হল। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (Union Home Ministry) তরফে একথা জানানো হয়। সুইডেনের নাগরিক তসলিমা ২০০৪ সাল থেকে টানা এদেশে বসবাসের অনুমতি পাচ্ছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তসমিলার ভারতে বসবাসের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছে। ৫৬ বছরের লেখিকার এদেশে বসবাসের মেয়াদ তিন মাস বাড়ানো হয়েছিল গত সপ্তাহে। তখনই তিনি টুইট করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে অনুরোধ করেন মেয়াদ এক বছরের জন্য বাড়াতে।
তিনি ১৬ জুলাই টুইটে লেখেন, ‘‘মাননীয় অমিত শাহজি, আমি অকপটে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই, আমার বসবাসের অনুমতি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু আমি চমকে গিয়েছি মাত্র ৩ মাসের জন্য। আমি ৫ বছরের জন্য আবেদন করলে ১ বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয়। মাননীয় রাজনাথজি আমাকে কথা দিয়েছিলেন আমাকে ৫০ বছরের জন্য মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হবে। ভারত আমার একমাত্র বাড়ি। আমি নিশ্চিত আপনি আমাকে উদ্ধার করবেন।''
ইতিহাস গড়তে তৈরি চন্দ্রযান-২, আত্মবিশ্বাসী ইসরো
১৭ জুলাইয়ের টুইটে তিনি আরও লেখেন, ‘‘যখনই আমি ৫ বছরের জন্য ভারতে বসবাসের অনুমতি চাই, আমাকে অনুমতি দেওয়া হয় ১ বছর। এবার আমি ৫ বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানোর অনুমতি চাওয়ায় দেওয়া হল ৩ মাসের অনুমতি। আশা করি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমার বসবাসের অনুমতি পুনর্বিবেচনা করে অন্তত ১ বছর করে দেবেন।''
শেষ পর্যন্ত মেয়াদ ১ বছর বাড়ানোর পরে তসলিমা আবার টুইট করে লেখেন, ‘‘টুইটার এত শক্তিশালী! ১৬ জুলাই টুইট করেছিলাম বসবাসের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে না বলে। ১৭ জুলাই সেটা বাড়ানো হল, কিন্তু মাত্র ৩ মাসের জন্য। অনেক টুইটারের বন্ধু অনুরোধ করেছিলেন এটা যেন আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য বাড়ানো হয়। সেটা আজ ১ বছরের জন্য বাড়ানো হয়। সিদ্ধান্ত বদলানোর জন্য ধন্যবাদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। টুইটারের বন্ধুদের ভালবাসি।''
১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হন তসলিমা নাসরিন। ইসলাম-বিরোধী মন্তব্যের অভিযোগে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হলে তিনি দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। সেই থেকে তিনি দেশছাড়া।
গত দু'দশকে তিনি আমেরিকা ও ইউরোপেও থেকেছেন। কিনন্তু বারবারই তিনি ভারতে থাকার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে কলকাতা।
তিনি ভারতের পাকাপাকি নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করলেও সেই নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি ভারত সরকার।
ভারতে না থাকলে পারলে তিনি আত্মপরিচয়ের সঙ্কটে ভুগবেন বলে জানিয়েছেন তসলিমা নাসরিন।